হবিগঞ্জ: গ্রামের ১৩টি ঘর আগুন দিয়ে পোড়ানো ও লুটপাটের মামলায় হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার মুকুল উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানও।
বুধবার (২ জুন) রাত পৌনে ১০টায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ডালিম আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, নোয়াগাঁও গ্রামে আগুন দেওয়া ও লুটপাটের মামলায় আসামি দুই শতাধিক। বুধবার বিকেলে ইমদাদুর রহমান মুকুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে দুইদিনে আরও আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। করোনা মহামারিতে সরকারি সহায়তা বিতরণে দুর্নীতির অভিযোগে ইমদাদুর রহমান মুকুল উপজেলা আওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কার ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছিলেন।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নবীগঞ্জ উপজেলার পানিউমদা ইউনিয়নের নোয়াগাঁও হাওরে একই উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের সাতাইহাল গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর উদ্দিনের একটি ফিশারী রয়েছে। সম্প্রতি নোয়াগাঁও গ্রামের কিছু লোক ফিশারীর পাহাড়াদার ও তার স্ত্রীকে মারধর করেন। এনিয়ে মামলাও হয়। এরপর মারধরের প্রতিশোধ নিতে গত রোববার সাতাইহাল ছয় মৌজার প্রায় সাত হাজার মানুষ জড়ো হয়ে নোয়াগাঁওয়ে হামলার প্রস্তুতি নেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য হামলার প্রস্তুতিকারীদের সঙ্গে প্রশাসনের আলোচনা চলছিল। কিন্তু উত্তেজিত লোকজনের একাংশ অন্য রাস্তায় গিয়ে নোয়াগাঁও গ্রামে হামলা করেন। হামলাকারীরা নোয়গাঁওয়ের ৫টি বাড়ির ১৩টি ঘর জ্বালিয়ে দেন। তারা গবাদিপশু ও ঘরে থাকা ধান-চালসহ প্রায় অর্ধকোটি টাকার মালামাল লুট করেছেন বলেও হামলার শিকার গ্রামবাসী জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় নোয়াগাঁও গ্রামের আব্দুস শহীদের ছেলে জামাল হোসেন বাদী হয়ে গত সোমবার রাতে ৪৭ জনের নামোল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও দুই শতাধিক আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৪ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০২১
এএটি