নোয়াখালী: দেশের আইন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।
বৃহস্পতিবার (১০ জুন) বিকেল ৩টায় নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এ নিয়ে স্ট্যাটাস দেন তিনি।
স্ট্যাটাস তিনি লিখেন, ‘আমেরিকাতে প্রফেশনাল কিলার ভাড়া করে আমাকে হত্যা করে লাশ গুম করার জন্য এবং এলাকাতে আমার নেতাকর্মীদের ওপর সশস্ত্র হামলা করে তাদের রক্তাক্ত করা ও হত্যার জন্য নোয়াখালীতে একরাম চৌধুরীর বাড়িতে, বসুরহাটে মঞ্জুর বাড়িতে এবং আমেরিকাতে জুয়েলের বাড়িতে পৃথক বৈঠক হয়। বিশ্বস্ত সূত্রের খবর নিশ্চিত হওয়ার পর আমার ও আমার নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য আমার চিকিৎসার জন্য আমেরিকা সফর স্থগিত করতে বাধ্য হলাম এবং আমার ফেসবুক আইডি আমার অজান্তে ব্যবহার করেন নিজাম উদ্দিন মুন্না। আইডিটি ছাত্রলীগ সভাপতি থাকাকালীন সে ব্যবহার করতো, তার কাছে আমার আইডি পাসওয়ার্ড ছিল। উপরোক্ত দুটি বিষয়ে আমি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের করতে থাকায় আবেদন করি। কিন্তু ঘুষখোর এডিশনাল এসপি শামীম ও থানার ঘুষখোর অফিসারের সমন্বয়ে আমার অভিযোগ তারা গ্রহণ করেনি। এদেশে আইনের কাছে কি আমরা নিরাপদ?’
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। পৌরসভায় গত ডিসেম্বরে নির্বাচনের আগে বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলে আলোচনায় আসেন তিনি।
স্থানীয় রাজনীতির বিভিন্ন ইস্যুতে দলীয় প্রতিপক্ষের সঙ্গে তার বিরোধের ঘটনায় সম্প্রতি দুটি সংঘর্ষে দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। এসব ঘটনায় একাধিক মামলা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ৩১ মার্চ দল থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন কাদের মির্জা। পদত্যাগের ৪৫ দিনের মাথায় ১৬ মে কাদের মির্জা আবার দলে ফিরে আসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২১
এনটি