ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

খালেদা জিয়াকে দ্রুত বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৩ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২১
খালেদা জিয়াকে দ্রুত বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান

ঢাকা: উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দ্রুত দেশের বাইরে পাঠানোর ব্যবস্থা করা এবং তার মুক্তির আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।

মঙ্গলবার (২২ জুন) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

গত ২০ জুন বিকেলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চ্যুয়াল বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলোার জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি মনে করে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া শুধু একজন বয়স্ক রাজনীতিবিদ নন, তিনি এই দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অতুলনীয় অবদান রেখেছেন। গণতন্ত্র পুনুরুদ্ধারে তার ভূমিকা কিংবদন্তীর মতো। তিন বার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। তার পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা প্রয়োজন। সব প্রকার রাজনৈতিক সংকীর্ণতা থেকে বের হয়ে তার সর্বোচ্চ চিকিৎসা এ দেশের মানুষের প্রাণের দাবি।

তিনি বলেন, দেশনেত্রীর শারীরিক পরিস্থিতি সম্পর্কে তার চিকিৎসক বোর্ডের প্রধান ডা. এফএম সিদ্দিকী সাংবাদিকদের জানান, দেশনেত্রী কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মুক্ত হলেও কোভিড পরবর্তী কয়েকটি জটিলতায় ভুগছেন। তিনি কোনো মতেই ঝুকি মুক্ত নন।  হাসপাতালে নন কোভিড এরিয়ায় কয়েকজন নার্স এবং চিকিৎসক ভারতীয় ডেল্টা ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত হলে তারা দেশনেত্রীকে হাসপাতালে রাখা সমীচীন মনে করেননি। সে কারণে বাসায় চিকিৎসার ব্যবস্থা ও নিবিড় পর্যবেক্ষণের আয়োজন করে বাসায় নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। তবে যে বিষয়টি তারা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবগত করেন যে, তার লিভার ও অন্যান্য জটিলতার চিকিৎসা বিদেশে কোনো উন্নত কেন্দ্রে করা প্রয়োজন।

করোনার টিকা সম্পর্কে মির্জা ফখরুল বলেন, টিকার অপ্রতুলতা মানুষের জীবনকে অনিশ্চিত করে ফেলেছে। শতকরা ৭০ ভাগ মানুষকে টিকা প্রদান করতে হলেও ২৬ কোটি টিকা প্রয়োজন যার শতকরা ৩ ভাগ সংগ্রহ করতে পারেনি সরকার। নিজস্ব দলীয় ব্যক্তির মালিকানার কোম্পানিকে ভ্যাকসিন সংগ্রহের দায়িত্ব দেওয়ায় গোটা জাতি আজ স্বাস্থ্য বিপর্য্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে। টেস্ট, বেড, অক্সিজেন, আইসিইউ, ভেন্টিলেটারের অভাব জেলা হাসপাতাল গুলোতে চিকিৎসা সেবা দেওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। সরকার আরোপিত প্রথমে সাধারণ ছুটি ও অপরিকল্পিত লকডাউনে পরিস্থিতি ক্রমশ নাগালের বাইরে চলে গেছে।  

মির্জা ফখরুল বলেন, ভোজ্য তেলের দাম গত ৬ মাসে প্রতি লিটারে ৩৮ টাকা (৩৩ শতাংশ) বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ মানুষ ও কর্মহীন মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত। বাণিজ্যমন্ত্রীর উক্তি, ‘দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই’ কোনো মতেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত।

তিনি বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় করোনাকালীন লকডাউনে সংগঠনের বিভিন্ন কার্যক্রম ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৪ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২১
এমএইচ/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।