ঢাকা: মহামারি করোনায় কর্ম ও আয়হীন মানুষের খাদ্যের ব্যবস্থার দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। সরকারকে মনে রাখতে হবে পেটে ক্ষুধা থাকলে কেউ সরকারের সাফল্যের বাজনা শুনবে না।
শনিবার (১৭ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া এ মন্তব্য করেন।
তারা বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধ, রোগীদের চিকিৎসা-অক্সিজেন, করোনায় কর্ম ও আয়হীন মানুষের খাদ্যের ব্যবস্থার দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। একজন মানুষও যেন বিনা চিকিৎসায় মারা না যায়, একজন মানুষও যেন না খেয়ে থাকে তা সরকারকেই নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের আঘাতের সময়ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর চরম ব্যর্থতায় স্বাস্থ্যখাতের দুর্বলতা কাটাতে কোনো রকমের দূরদর্শিতার পরিচয় দিতে পারেনি সরকার। বরং তারা জোড়াতালি দিয়ে চলার নীতিই অনুসরণ করছে।
নেতারা বলেন, সরকার শুধু আশ্বাস দিয়ে বলে করোনার টিকা আসছে। কিন্তু কখন আসবে, কীভাবে আসবে বা কোথা থেকে আসবে তা বলতে পারছে না। তাই করোনার টিকা নিয়ে দেশবাসীর মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। সারা বিশ্ব যখন টিকা দিয়ে করোনা মোকাবিলা করছে, তখন আমাদের দেশ ‘লকডাউন’ দিয়ে করোনা মোকাবিলা করতে চাচ্ছে। এটা কখনোই যুক্তিযুক্ত নয়।
তারা বলেন, সামনে ঈদ। সরকারকে এখনই পরিকল্পনা করতে হবে। মানুষকে সাহস জোগাতে হবে। কোনো মানুষ যেন ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত না থাকে। মানুষের দীর্ঘশ্বাস দূর করতে সম্ভব সবকিছুই করতে হবে সরকারকে। উন্নতি ও সমৃদ্ধির গল্প তখনই মানুষ বিশ্বাস করবে যখন তারা দেখবে দুঃসময়ে সরকার তাদের সঙ্গে আছে। গাল ভরা বুলি নয়, মানুষ চায় দু’বেলা পেট ভরে খেতে। মানুষকে খালি পেটে রেখে সাফল্যের বাজনা বাজালে তা বেসুরোই লাগবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০২১
এমএইচ/আরবি