ঢাকা: জনগণ এখন আর বিএনপির শব্দ বোমায় কান দেয় না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, জনস্বার্থে সরকারের যে কোনো কাজ কিংবা সাফল্য বিএনপির গায়ে জ্বালা বাড়ায়।
সোমবার (১৯ জুলাই) দুপুরে ওবায়দুল কাদের সচিবালয়ে তার নিজ দপ্তরে ব্রিফিংকালে এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, তাদের দৃষ্টিসীমায় ভর করে উদ্দেশ্যমূলক অন্ধত্ব৷ বিএনপি নেতারা লকডাউনকে মর্মান্তিক তামাশা বলছে৷ আসলে বিএনপিই জনগণের সঙ্গে মর্মান্তিক তামাশা করেছে, তারা কখন কি বলে নিজেরাও জানে না। বিএনপি নেতারা একবার বলেন, লকডাউন দরকার, আবার বলেন, কঠোর লকডাউন দিন, পরক্ষণেই বলেন, লকডাউন সমাধান নয়, ক্ষতিপূরণ দিন। তারা এক সময় ভ্যাকসিনের বিরুদ্ধেও অপপ্রচার করেছিলেন, আবার বলেন, কারফিউ দিলে জনগণ মানবে না৷ অথচ সরকার কারফিউয়ের কথা ভাবেওনি। বিএনপি নেতারা বিবেক-বুদ্ধি অনুযায়ী না চললে এবং না বললে এমনই হয়।
বিএনপির হঠকারিতা এবং নেতিবাচক রাজনীতির কারণে তাদের অনেক নেতাকর্মী নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছেন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকারে থাকতে যেমন অনিয়ম ও দুর্নীতিতে তারা নিমজ্জিত ছিলেন, তেমনি সরকারবিরোধী রাজনীতিতে থেকেও তারা সুবিধাবাদীতায় নিমজ্জিত।
বিএনপির একগুঁয়েমি ও মুখোশ পরা অপকৌশলের জন্য এরই মধ্যে জোট সঙ্গীরাও দল ছাড়তে শুরু করেছেন৷ মানুষের ধর্মবিশ্বাসকে পুঁজি করে তাদের রাজনীতির যে খেলা, তা জোট সঙ্গীরাই এখন ফাঁস করে দিচ্ছেন।
মন্ত্রী বলেন, বিরোধী দল হিসেবে চরমভাবে ব্যর্থ বিএনপি নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে নানা রকম বাক্যবাণে কর্মীদের চাঙা রাখার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। সরকারের বিরুদ্ধে অনবরত বিষোদগার করে যাচ্ছে বিএনপি। অথচ জণকল্যাণে তাদের কোনো কার্যক্রম নেই৷ অবশ্য বিএনপি একটা কাজই অনবরত করে যাচ্ছে, তা হচ্ছে সরকারের অন্ধ সমালোচনা। জনগণ বিএনপির এসব শব্দ বোমায় এখন আর কান দেয় না৷ শেখ হাসিনা সরকার জনস্বার্থে দিনরাত কাজ করছে এবং করে যাবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির কাজই হলো সমালোচনা করা এবং তা তারা করতে থাকুক৷ পক্ষান্তরে শেখ হাসিনা সরকার দেশের মানুষকে নিয়ে যখন করোনাবিরোধী লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, তখন বিএনপি সুরক্ষিত গৃহকোণ থেকে মিডিয়ায় অব্যাহত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে ও নসিহত করে যাচ্ছে। বিএনপি এখন জনবিচ্ছিন্ন হয়ে রাজনৈতিক দলের ভূমিকা ছেড়ে কথা নির্ভর কনসাল্টেন্সি ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০২১
এসকে/এসআই