ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বিএনপি চালাচ্ছে নীতিহীন-সুবিধাবাদীরা: সেলিম মাহমুদ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০২১
বিএনপি চালাচ্ছে নীতিহীন-সুবিধাবাদীরা: সেলিম মাহমুদ সেলিম মাহমুদ

ঢাকা: নীতিহীন, সুবিধাবাদী ও বহুরূপী ব্যক্তিরা বিএনপিকে চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ।

শুক্রবার (২০ আগস্ট) আওয়ামী লীগের ডাটাবেস টিমের এক ভার্চ্যুয়াল সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, বিএনপি চালাচ্ছে কিছু নীতিহীন, সুবিধাবাদী ও বহুরূপী ব্যক্তিরা।

বিএনপি নেতা মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের বক্তব্যকে 'পাগলের প্রলাপ' মন্তব্য করে সেলিম মাহমুদ বলেন, সেটি একদিকে যেমন হাস্যকর, অন্যদিকে ঔদ্ধত্যপূর্ণ। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে মেজর হাফিজের মন্তব্যে তাদের ইতিহাস বিকৃতি ও মিথ্যাচারের রাজনীতির পুরনো মানসিকতাই ফুটে উঠেছে।

তিনি বলেন, গত সাত দশকের বেশি সময় আওয়ামী লীগ এদেশের কোটি কোটি মানুষের ভালোবাসায় বেঁচে আছে। আওয়ামী লীগের শেকড় সমগ্র বাংলাদেশে বিস্তৃত এবং এই শেকড় অত্যন্ত মজবুত। আওয়ামী লীগ এদেশের প্রতিটি ধূলিকণায়, প্রতিটি ঘাসের সঙ্গে মিশে আছে।

সেলিম মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জিয়ার সরাসরি যুক্ত থাকার বিষয়টি দালীলিকভাবে প্রমাণিত। অথচ মেজর হাফিজরা বলছেন, এটি আওয়ামী লীগের মিথ্যা প্রচারণা।

তিনি বলেন, জিয়া শুধু সপরিবারে জাতির পিতাকে হত্যার মূল নির্দেশদাতা-ই ছিলেন না, ১৯৭৫ থেকে ১৯৮১ পর্যন্ত অসংখ্য সেনা কর্মকর্তা-সৈনিককে জিয়া হত্যা করেছিলেন।

বিএনপি নেতা মেজর (অব) হাফিজকে উদ্দেশ করে সেলিম মাহমুদ বলেন, মেজর (অব) হাফিজ কী ভুলে গেছেন, আজ থেকে ৪৬ বছর আগে ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার কারণে এবং বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সার্বক্ষণিক প্রশ্রয় ও সমর্থন দেওয়ার কারণে আরও কয়েকজন সেনা কর্মকর্তার সঙ্গে এই মেজর হাফিজ মোশতাক-জিয়ার বিরুদ্ধে ক্যু করেছিলেন। জেনারেল জিয়াকে যে কয়েকজন অফিসার সেদিন বন্দি করেছিলেন, মেজর হাফিজ তাদের অন্যতম। সেই ক্যু ব্যর্থ হওয়ায় জিয়ার নির্দেশে হাফিজরা গ্রেফতার হয়েছিলেন। জিয়ার নির্দেশে কোর্ট মার্শালে মেজর হাফিজদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার আয়োজন যখন চলছিল, তখন জেনারেল মঞ্জুরের মধ্যস্থতায় মেজর হাফিজসহ কয়েকজন সেনাবাহিনী থেকে বিদায়ের শর্তে প্রাণে রক্ষা পান।

বিএনপির এ নেতার সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক বলেন, মেজর হাফিজের বহুরূপী চরিত্র অনেকেই দেখেছেন l বিএনপি সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আশির দশকে এরশাদের দলে যোগদান, এরশাদ সরকারের প্রতিমন্ত্রীর পদ পাওয়া, এরশাদের পতনের পর সুযোগ-সুবিধার হিসাব নিকাশ করে খালেদা জিয়ার বিএনপিতে যোগদান, বিএনপি'র মন্ত্রিত্ব পাওয়া, পরবর্তীতে বিএনপি'র বিপর্যয়ের পর এক-এগারোতে অরাজনৈতিক শক্তির উচ্ছিষ্টভোগী হিসেবে নিজের নাম লেখাতে সক্রিয় ছিলেন এই মেজর হাফিজ। ওয়ান-ইলেভেনের পর আবার বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়া এই মেজর হাফিজরা নীতিহীন ও সুবিধাবাদী রাজনীতির প্রতিভূ। তাদের মুখে বাঙালির মুক্তিসংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী দল, বাংলার গণমানুষের দল আওয়ামী লীগকে ভয় দেখানো মানায় না। এটি চরম ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও হাস্যকর।

তালেবান প্রসঙ্গে ড۔ সেলিম বলেন, যারা আফগানিস্তানের ভয় বাংলার মানুষকে দেখাতে চায়, তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে। এই রাষ্ট্র বঙ্গবন্ধুর, এই রাষ্ট্র শেখ হাসিনার। ষড়যন্ত্রকারীরা শুধু একবারই সফল হয়েছিল- সেটি ১৯৭৫ সালে জাতির পিতার অন্ধ বিশ্বাসের কারণে। এখন কোনো ষড়যন্ত্রকারীর সেই সুযোগ নেই। সব ষড়যন্ত্রকারীকে নির্মূল করার সক্ষমতা এখন আমাদের রয়েছে।

ভার্চ্যুয়াল এ সভায় অন্যান্যের মধ্যে সংযুক্ত ছিলেন ডাটাবেস টিমের সদস্য সাবেক ছাত্রনেতা সাজ্জাদ সাকিব বাদশা, নাসিম রূপক, আশরাফ সিদ্দিকী বিটু, নুরুল আলম পাঠান মিলন, জাফরুল জুয়েল, আমজাদ হোসাইন বাচ্চু, রায়হান কবির, আদিত্য নন্দী, আহমেদ কৌশিক।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০২১
এমইউএম/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।