ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

রাষ্ট্রবিরোধী অপশক্তি এখনো ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে: পলক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০২১
রাষ্ট্রবিরোধী অপশক্তি এখনো ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে: পলক জুনাইদ আহমেদ পলক

নাটোর: রাষ্ট্রবিরোধী অপশক্তি এখনো দেশে-বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। ওই অপশক্তিকে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে মোকাবিলা করতে হবে।

তবেই জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে দেশ।  

শনিবার (২১ আগস্ট) গ্রেনেড হামলা দিবস উপলক্ষে সিংড়া উপজেলা ও পৌর যুবলীগ আয়োজিত ভার্চ্যুয়াল দোয়া এবং আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ কথা বলেন।  

সিংড়া পৌর যুবলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ’৭১ এর স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রাক্কালে ২৫ মার্চের কালো রাতের হত্যাযজ্ঞ, ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড, ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে সন্ত্রাসবিরোধী আওয়ামী লীগের সমাবেশে নারকীয় গ্রেনেড হামলা একই সূত্রে গাঁথা।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ অভূতপূর্ব বিজয় অর্জন করার পরে তার উত্থানকে রোধ করার জন্য পাকিস্তান তাদের এদেশীয় দোসরদের সঙ্গে নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করে। ’৭১ এর ২৫ মার্চ রাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে এদেশের নিরীহ মানুষের ওপর। গণহত্যা চালিয়েও যখন বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন রোধ করা সম্ভব হচ্ছিল না, তখন এদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে ১৪ ডিসেম্বর তালিকা করে বাংলাদেশের সূর্য সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করো হয়।

তিনি বলেন, সব ষড়যন্ত্রকে উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধু যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে তার মেধা প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতা দিয়ে সোনার বাংলায় পরিণত করছিলেন। ১৯৭৪ সালে দেশের অর্জিত প্রবৃদ্ধি ছিল নয় শতাংশ। এসব সহ্য করতে না পেরে ষড়যন্ত্রকারীরা ১৯৭৫ সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। তাকে হত্যা করে এদেশকে পিছিয়ে দেওয়া হয়।

অবশেষে দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের ফসল হিসেবে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে আসেন এবং বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত ‘সোনার বাংলা’ গড়ার কাজ শুরু করেন।

জুনাইদ আহমেদ আরও বলেন, কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা ২০০৪ সালে আবারও সক্রিয় হয়। ওই সময়ের সরকার প্রধান খালেদা জিয়া ও হাওয়া ভবন থেকে তারেক জিয়ার আশ্রয়ে এবং তাদের নির্দেশে শেখ হাসিনাকে হত্যার চক্রান্ত করা হয়। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে হত্যা করে এদেশের স্বাধীন সার্বভৌম অবস্থানকে বিনষ্ট এবং দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে স্তব্ধ করে দিতে চেয়েছিল তারা। ভাগ্যক্রমে সেদিন শেখ হাসিনা বেঁচে যান। ওইদিন তিনি বেঁচে যাওয়াতে বাংলাদেশ আজ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর আজন্মলালিত ‘সোনার বাংলার আধুনিক রুপ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ দৃশ্যমান হয়েছে। সারাবিশ্বে এদেশের উন্নয়ন শুধু প্রশংসিতই নয়, অনুসরণীয় হয়ে ওঠেছে।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ১২ বছর ধরে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকলেও শেখ হাসিনা এখন নিরাপদ, একথা বলা যাবে না। এখনও ঘাপটি মেরে থাকা সেই অপশক্তি একের পর এক ষড়যন্ত্র করেই চলেছে। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন কোনো দিন সফল হবে না। বাংলার জনগণ শেখ হাসিনার পাশে আছে।

সবশেষে গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে অভিযুক্ত হয়ে বিদেশে পালিয়ে থাকা ঘাতকদের দেশে ফিরিয়ে আনা এবং মামলার রায় কার্যকর করার দাবি জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।

সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল, সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ওহিদুর রহমান শেখ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০২১
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।