ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সরকারকে আর সময় দেওয়া যাবে না

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২১
সরকারকে আর সময় দেওয়া যাবে না

ঢাকা: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই সরকার বিচার বিভাগ, পার্লামেন্ট, প্রশাসন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। তাই এই সরকারকে কোনোভাবেই আর সময় দেওয়া যাবে না।

রোববার (১০ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জেহাদ দিবস উপলক্ষে শহীদ জেহাদ স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ১৯৭১ সালে আমরা স্বাধীনতাযুদ্ধ করেছিলাম। লাখ লাখ মানুষের জীবনের বিনিময়ে আমরা সেদিন স্বাধীনতাকে ছিনিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছিলাম। পরে ১৯৯০ সালে একটি গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের রাষ্ট্রব্যবস্থায় পরিবর্তন এনে দিয়েছিল। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সেদিন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। আজকে আবার সেই সময় এসেছে। আরো দৃঢ়তার সঙ্গে আরেকটি গণঅভ্যুত্থান ঘটাতে হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা লক্ষ্য করেছেন প্রায় প্রতিটি আন্দোলনে আমাদের ছাত্ররাই সবচেয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। ’৯০-এর গণঅভ্যুত্থানে যেমন আমান উল্লাহ আমানরা তাদের দায়িত্ব পালন করে সফল হয়েছেন, ঠিক একইভাবে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে ছাত্ররাই সফল হয়েছিল। এমনকি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ছাত্র-যুবকরাই জয়ী হয়েছিল।

তিনি বলেন, আজকে একটা ভয়াবহ পরিস্থিতি। জেহাদ যে কারণে রক্ত দিয়েছিল, সেই গণতন্ত্রকে আজকে আমাদের কাছ থেকে হরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমাদের অর্জনগুলোকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ১৯৭১ সালে আমরা যে স্বাধীনতা পেয়েছিলাম সেই স্বাধীনতা এখন আমরা ভোগ করছি না। আমাদের দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব আজকে বিপন্ন হয়েছে। আমরা আজকে একটি নতজানু রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, স্বাধীনতাযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা মানুষের জন্য যে ভালো জিনিসগুলো লাভ করেছিলাম তা এই দানবীয় সরকার কেড়ে নিয়েছে। এই সরকার অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে। আদালতকে ব্যবহার করে ২০১২ সালে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছে। তারপর বে-আইনিভাবে প্রায় ১৪ বছর যাবৎ ক্ষমতা দখল করে বসে আছে।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও ফজলুল হক মিলনের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক ছাত্র নেতা শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপির বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ডাকসুর সাবেক জিএস খায়রুল কবির খোকন, সাবেক ছাত্রনেতা মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, সাবেক এমপি বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন, সাবেক এমপি বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, সাবেক ছাত্রনেতা ডেমোক্রেটিক লীগের মহাসচিব সাইফুদ্দিন মনি, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল, মহিলা দলের সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২১
এমএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।