ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সময় ও স্রোতের মতো নির্বাচনও বসে থাকবে না

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২১
সময় ও স্রোতের মতো নির্বাচনও বসে থাকবে না ওবায়দুল কাদের। ফাইল ফটো

ঢাকা: সময় ও স্রোতের মতো নির্বাচনও বসে থাকবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।  

তিনি জানান, নির্বাচন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে হবে না, নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে।

 

‘আওয়ামী লীগের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না’ দলটির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (২৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ব্রিফিংকালে ওবায়দুল কাদের এ কথা জানান।

তিনি বলেন, মীমাংসিত ইস্যু নিয়ে একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের বক্তব্য আত্মঘাতী ছাড়া আর কিছুই নয়।

নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রশ্নে বিএনপি এখনও পুরনো পথে হাঁটছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রকৃতপক্ষে সময় ও স্রোতের মতো নির্বাচনও বসে থাকবে না। নির্বাচন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে হবে না, নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে।

বিএনপি ক্ষমতায় যেতে চায় তবে তা ব্যালটের মাধ্যমে নয়, ভিন্ন কোনো অগণতান্ত্রিক এবং চোরা পথে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

বিএনপি আরও একটি ওয়ান ইলেভেনের স্বপ্নে বিভোর উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এদেশে আর এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে বলে মনে হয় না। দেশের জনগণের ধ্যান-ধারণা বদলে দিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। জনগণ এখন উন্নয়ন প্রিয়, ভবিষ্যৎদর্শী।

যারা গুজব ও অপপ্রচারকে রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে নিয়েছে তাদের চেহারা জনগণের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নিজেরাই নিজেদের ফাঁদে আটকা পড়েছে, তাইতো তারা এখন উভয় সংকটে- না পারছে আন্দোলন জমাতে, না পারছে নির্বাচনে যেতে। আওয়ামী লীগ নয়, প্রকৃত অর্থে বিএনপিই এখন দেউলিয়া হয়ে গেছে, তারা এখন জনবিচ্ছিন্ন। তাই তারা নির্বাচনকে ভয় পায় এবং তাদের আন্দোলনের কথা শুনলে মানুষ হাসে।

বিএনপি ষড়যন্ত্র ও গুজব নির্ভর, রাজপথে তাদের কোনো অস্তিত্ব নেই। তাদের অস্তিত্ব শুধু ফেসবুক আর অনলাইনে। এসব কি বিএনপির দেউলিয়াত্বের লক্ষণ নয়?

ওবায়দুল কাদের বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে তৃণমূল থেকে নাম পাঠানোর ক্ষেত্রে বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে দলের পরীক্ষিত ও ত্যাগীদের নাম কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।

কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আপিল করার সুযোগ রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে তা জমা দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কিছু কিছু স্থানে প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তৃণমূলে একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে স্থানীয় সরকার পরিষদের মনোনয়নের জন্য প্রস্তাবিত প্রার্থীর তালিকা কেন্দ্রে পাঠানো হয়। ইউনিয়ন থেকে উপজেলা তারপর জেলা হয়ে কেন্দ্রে নামের সুপারিশ আসে। নাম তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে কোনোরূপ স্বজনপ্রীতি ও লোভের বশবর্তী না হয়ে এবং প্রার্থী সম্পর্কে তথ্য গোপন না করে নাম পাঠানোর জন্য দলীয়ভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২১
এসকে/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।