ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ধর্ম ব্যবহার করে রাষ্ট্রকে চ্যালেঞ্জ করা হচ্ছে: মেনন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২১
ধর্ম ব্যবহার করে রাষ্ট্রকে চ্যালেঞ্জ করা হচ্ছে: মেনন রাশেদ খান মেনন।

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন রাষ্ট্রের কোনো বিশেষ ধর্ম থাকবে না কিন্তু ধর্মকে ব্যবহার করে আজ বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে চ্যলেন্জ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।

তিনি বলেন, অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়তে অসাম্প্রদায়িক শক্তির কোনো বিকল্প নেই।

বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ আলোচনায় অংশ নিয়ে রাশেদ খান মেনন এ কথা জানান।

এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন। এর আগে বুধবার এ বিশেষ আলোচনাটির প্রস্তাব উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাশেদ খান মেনন বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর কথাই বলতে চাই, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন- রাষ্ট্র বিশেষ কোনো ধর্মের ভিত্তিতে হবে না। রাষ্ট্র হবে ধর্মনিরপেক্ষ। ধর্মনিরপেক্ষতা ধর্মহীনতা নয়, সব ধর্মের মানুষ সমান অধিকার ভোগ করবে। রাষ্ট্রের কোনো বিশেষ ধর্ম থাকবে না।

তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান এদেশে ধর্মীয় রাজনীতি শুরু করেন। এ সুযোগ নিয়ে ধর্মীয় মৌলবাদীরা আজ ইসলাম ধর্মকে ব্যবহার করে বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে, সংবিধানকে, জাতীয় পতাকাকে চ্যালেঞ্জ করছে। ওয়ার্কার্স পার্টির নোট অব ডিসেন্ট সত্বেও সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম রেখে দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক ঘটনায় আমরা তৃণমূলের কর্মীদের সম্পৃক্ততা স্বীকার না করে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে।

রাশেদ থান মেনন বলেন, বঙ্গবন্ধু সমাজতন্ত্রের কথা বলেছিলেন। তিনি সমন্ত শিল্পকে রাষ্ট্রীয়করণ করেছিলেন। আমরা যে উদার নৈতিক অর্থনীতি অনুসরণ করছি তাতে অর্থনৈতিক বৈষম্য বাড়ছে। দেশের উন্নয়ন হচ্ছে কিন্তু দেশের সম্পদ পুঞ্জিভূত হচ্ছে মুষ্টিমেয় মানুষের হাতে।

এসডিজির মুল কথা কাউকে পিছনে ফেলে নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ দেশের গরীব মানুষ পিছনে পড়েই যাচ্ছে। কোভিডকারী দুনীতি, কোভিডের আরেকটি ঢেউ কিভাবে মোকাবিলা করা হবে জানি না। কোভিডের সময় শিক্ষার অবস্থা খারাপ।

মেনন আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু আমলাতন্ত্রকে জনপ্রতিনিধিদের অধীনস্থ করেছিলেন। এখন জনপ্রতিনিধিরা আমলাতন্ত্রের অধীনে। ক্রিকেট মাঠে পাকিস্তানের পক্ষে ধ্বনি উঠে, পাকিস্তানের পতাকা ওড়ে, এটা কি পরিকল্পিত না কি আমাদের ব্যর্থতা দেখতে হবে।  ১৫ দল, তিন জোটের অঙ্গীকার, ১৪ দল গঠনের মধ্য দিয়ে আমরা বর্তমান পর্যায়ে এসেছি। নেতৃত্বে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু এর ভিত্তি ছিল অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্য। আমাদের জোট আছে। শুধু ১৪ দলে আছি কেবল দিবস পালনে ৷ নীতিনির্ধারণের কোন অংশ নয় ৷ সরকারের দায় আমাদেরও বহন করতে হয়। আওয়ামী লীগের কাছে ১৪ দলের গুরুত্ব বা অসাম্প্রদায়িক ঐক্যের গুরুত্ব আছে কি না জানি না। তবে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক দেশ গড়তে অসাম্প্রদায়িক ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২১
এসকে/এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।