ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সবক্ষেত্রে ৯০ শতাংশ লুট হচ্ছে: মির্জা ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২২
সবক্ষেত্রে ৯০ শতাংশ লুট হচ্ছে: মির্জা ফখরুল

ঢাকা: সরকার সারাক্ষণ উন্নয়নের কথা বললেও অর্থনীতির স্বাধীনতার সূচকে এ বছর ১৭৭ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৭তম। এখন দুর্নীতি বললে ছোট হয়ে যাবে, এ সরকার একেবারে ডাকাতি-লুটপাটের একটা অর্থনীতি চালু করেছে।

এখন সবক্ষেত্রে শতকরা ৯০ শতাংশ লুট হচ্ছে।

শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিএনপি গঠিত কমিটি আয়োজিত জাতীয় রচনা প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা অনুষ্ঠানে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আজকে পত্রিকায় এসেছে বাংলাদেশের অর্থনীতির স্বাধীনতার সূচক কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। এরা তো সারাক্ষণ চিৎকার করছে উন্নয়ন, উন্নয়ন, উন্নয়ন। গোটা বাংলাদেশকে তারা সোনা দিয়ে মুড়িয়ে দিচ্ছে। হেরিটেজ ফাউন্ডেশন বলে একটা আন্তর্জাতিক সংস্থা আছে যারা উন্নয়নের সূচক নিয়ে জরিপ করে। সেই জরিপে তারা বলছে, ২০২২ সালে ১৭৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৭তম স্থানে। ২০২১ সালে ছিল ১২০তম। অর্থাৎ ১৭ ধাপ নিচে নেমে গেছে। এ যে সূচক নিচে নামছে এটা ক্রমান্বয়ে নামছে। কারণ তারা অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে প্রথমে মানুষের রাজনৈতিক অধিকার হরণ করেছে। অর্থনৈতিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। দুর্নীতি বললে ছোট হয়ে যায়। একেবারে ডাকাতি-লুটপাটের একটা অর্থনীতি চালু করেছে। এটা তাদের মজ্জাগত। দুর্নীতিকে তারা এখন কিছু মনে করছে না। তারা মনে করে এটা তাদের রাইট। এখনও করছে অতীতেও করেছিল। এজন্য মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী বলেছিলেন, আওয়ামী লীগের নাম এখন নিখিল বাংলাদেশ লুটপাট সমিতি রাখা হোক। আজকে প্রতিটি ক্ষেত্রে ৯০ শতাংশ লুট হচ্ছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে যারা ক্ষমতায় বসে আছে তারা স্বাধীনতার সমস্ত আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ধ্বংস করে দিয়ে জোর করে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় বসে আছে। জাতির সামনে একটা ভ্রান্ত ইতিহাস তুলে ধরা হচ্ছে। শিশুদের পাঠ্যপুস্তক থেকে শুরু করে নতুন প্রজন্মের কাছে এমন একটি ধারণা দেওয়া হচ্ছে একজন ব্যক্তি আর একটি দল ছাড়া আর কেউ স্বাধীনতাযুদ্ধে জড়িত ছিল না। ভাবখানা এমন যে একজন মানুষই শুধুমাত্র স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছেন। বা যুদ্ধ করতে মানুষকে সংগঠিত করেছেন। অথবা একটি দলই সব করেছে। যেটা ইতিহাসে সবচেয়ে বিকৃত বলে প্রমাণিত। যারা যুদ্ধ করেছেন, যুদ্ধে প্রাণ দিয়েছেন, ত্যাগ স্বীকার করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সমগ্র জাতিকে ঝাঁপিয়ে পড়তে অনুপ্রাণিত করলেন। যে কারণে মুক্তিযুদ্ধ হলো, সেই মহান ব্যক্তিটিকে ইতিহাস থেকে সম্পূর্ণ মুছে দেওয়ার একটা প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।  

বিএনপির মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক একজন সেতু বিভাগের আর একজন তথ্যমন্ত্রী এমনভাবে কথা বলেন। যে কথাগুলো শুনলে মনে হয় কলের গানের রেকর্ডের মতো, একই কথা বাজতে থাকে। আর সমস্ত কথা বিএনপিকে নিয়ে। একই কথা বিএনপি গণতন্ত্র মানে না। এটা হচ্ছে ভুতের মুখে রাম নাম। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে, নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। নির্বাচনের ওপর থেকে মানুষের আস্থা চলে গেছে। তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না।  

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে ও আবদুস সালামের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২২
এমএইচ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।