ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

৪৮ লঞ্চে করে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে যোগ দেবে দক্ষিণাঞ্চলের লাখো মানুষ

মুশফিক সৌরভ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৯ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২২
৪৮ লঞ্চে করে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে যোগ দেবে দক্ষিণাঞ্চলের লাখো মানুষ

বরিশাল: পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বরিশাল অঞ্চলের এক লাখ মানুষ যোগ দেবে। এরমধ্যে একটি অংশ অনুষ্ঠানে যাবে বিলাসবহুল অর্ধশত লঞ্চে।

প্রয়োজনে এর সংখ্যা আরও বাড়ানো হতে পারে। সেই সঙ্গে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মাদারীপুরের কাছের উপজেলাগুলো থেকে সড়কপথে অনুষ্ঠানে যাবে নেতাকর্মীরা।

বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল যাত্রী পরিবহন সংস্থার সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, বরিশাল থেকে নৌ-পথে ঢাকায় যেতে যে সময় লাগে, সমাবেশস্থলে যেতেও একই সময় লাগবে। গোটা বরিশাল থেকে যাতে সমাবেশস্থলে মানুষ যেতে পারে সেজন্য আমরা বাস ও লঞ্চ মিলিয়ে সড়ক ও নৌ-পথে পর্যাপ্ত পরিবহনের ব্যবস্থা রেখেছি। যারা নৌপথে যাবে, তাদের নিয়ে ২৪ জুন দিনগত রাতেই গোটা বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন ঘাট ত্যাগ করবে ৪৮টি বিলাসবহুল লঞ্চ।  

তিনি বলেন, বরিশাল নদী বন্দরসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা সদর ও উপজেলা সদরের ঘাটগুলোতে লঞ্চগুলো আগে থেকেই নোঙর করা থাকবে।  

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণাঞ্চল থেকে যাওয়া ৪৮ লঞ্চের নোঙর করার ব্যবস্থা করা হয়েছে পদ্মা সেতু সংলগ্ন বাংলাবাজার ঘাটে। আর বিভাগের মধ্যে, সর্বোচ্চ বরিশাল জেলা থেকে ১৩টি এবং ভোলা থেকে আটটি লঞ্চ পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠান স্থলে মানুষ নিয়ে যাবেন। আর জেলার মধ্যে বরিশাল নদী বন্দর থেকেই সাতটি লঞ্চ যাবে পদ্মা পাড়ে। যার মধ্যে চারতলা বিশিষ্ট পাঁচটি লঞ্চ রয়েছে।  

এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা জানিয়েছেন, প্রতিটি এলাকা থেকে মানুষ যার নেতৃত্বে যাবেন তিনি তাদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করবেন।

বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার বলেন, বরিশাল নগরীর ১০টি উপজেলায় তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠান হবে। সেতুর উদ্বোধনী দিন স্মরণ রাখার মতো উৎসব করা হবে। ওই দিন সকাল ৯টায় নগরে র‌্যালি বের করা হবে। নগরের বান্দরোডস্থ জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে থেকে র‌্যালি বের করা হবে। এছাড়া নগরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বড় পর্দায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হবে।  

নগরে ট্রাকে ঘুরে বাউল শিল্পিরা সংগীত পরিবেশন করবেন। সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমিতে লেজার শো ও আতশবাজি প্রদর্শন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। পদ্মা সেতুর আদলে সেতু তৈরি করা হবে। স্থানীয় পত্রিকায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ ক্রোড়পত্র বের করা হবে।  

অপরদিকে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কমিশনার প্রলয় চিসিম বলেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ঘিরে যে কোনো ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে কাজ শুরু করেছে মহানগর পুলিশ। মহানগর এলাকার নিরাপত্তায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।  

কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহমান মুকুল বাংলানিউজকে বলেন, কেউ যাতে নাশকতা করতে না পারে সেজন্য গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় চেক পোস্ট বসিয়ে তল্লাশি ও অভিযান করা হয়েছে। এছাড়া নগরের আবাসিক হোটেল, ছাত্রবাস ও মেসে তল্লাশিসহ সন্দেহভাজনদের নজরে রাখা হয়েছে। এ কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত চলবে।  

একইভাবে বরিশাল মহানগর পুলিশের চার থানা ও জেলার ১০ থানা এলাকায় পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত রেঞ্জ ডিআইজি মো. এহছান উল্ল্যাহ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৯ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২২
এমএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।