ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বিদ্যুতের ইনডেমনিটি চুরি-লুটপাটের আইন: গণফোরাম

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২২ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০২২
বিদ্যুতের ইনডেমনিটি চুরি-লুটপাটের আইন: গণফোরাম মোস্তফা মোহসীন মন্টু -ফাইল ছবি

ঢাকা: গণফোরাম একাংশের সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ইনডেমনিটি আইন রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় দুর্নীতিবাজদের চুরি-লুটপাট করার বিশেষ আইন। যার মাধ্যমে জনগণের রক্ত চুষে খায় অবৈধ ক্ষমতাসীনরা।

মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) বিকেলে দলের যৌথ জরুরি বৈঠকে এমন কথা বলেন তিনি। সেই সঙ্গে অবিলম্বে বিদ্যুৎ এ ভর্তুকি কতো তার সব হিসেবের শ্বেতপত্র জনগণের কাছে প্রকাশের দাবি জানান।

তিনি বলেন, চুরি আড়াল করতে শাক দিয়ে মাছ লুকানোর মতো যতই আইন করেন না কেন, জনগণের টাকা চুরি করা সবার বিচার এ দেশের মাটিতেই করা হবে। ওয়াসার বিল নিয়ে শ্রেণিবিন্যাস জনগণের সুবিধার জন্য নয়, দুর্নীতির নতুন ফন্দি।

গণফোরাম সভাপতির কার্যালয়ে এ জরুরি যৌথ সভায় নেতারা দেশের চলমান সংকট নিরসনে আলোচনা করেন।

সভায় দলের নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ বলেন, আমদানি নির্ভরতা বিদ্যুৎ  খাতে সংকটের সবচেয়ে বড় কারণ। অতিরিক্ত আমদানি নির্ভরতার সবচেয়ে বড় কারণ লুটপাট করা। এখানে জনগণের জন্য কোনো সুযোগ-সুবিধা না দিয়ে কোম্পানিগুলোকে সব সহায়তা দেওয়ার মাধ্যমে মহাপরিকল্পনা করে জনগণের অর্থ আত্মসাৎ করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ খাতের নৈরাজ্য ফ্যাসিস্ট সরকারের পূর্ব পরিকল্পিত। জনগণ থেকে অতিরিক্ত ক্যাপাসিটি চার্জ আদায় করতেই বিদ্যুৎ খাতে মহা-লুটপাটের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন বিদ্যুৎ খাতের এই নৈরাজ্যের মাধ্যমে দৃশ্যমান হয়।

সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, রাজ চুরি অনেক হয়েছে, এবার বাদ দিন। জনগণের কাছে ধরা পড়ে গেছেন আপনারা। দুর্নীতিবাজ, চোরদের বাঁচাতে ইনডেমনিটি করেন, আবার বড় বড় কথা বলেন? আহারে কতো টাকা লাগে আপনাদের! পেট ভরে, তবু চোখ ভরে না। আপনাদের কাছে জনগণ কিছুই আশা করে না, ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে জনগণকে মুক্তি দিন। নইলে জনগণ আপনাদের একবিন্দুও ছাড় দেবে না। এই দলদাস নির্বাচন কমিশন দিয়ে সংলাপের নামে নাটক বন্ধ করুন, আপনাদের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন কল্পনা করাও যায় না। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নির্দলীয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনো বিকল্প নেই।

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন গণফোরাম নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট মহসীন রশিদ, অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন আব্দুল কাদের, সভাপতি পরিষদ সদস্য মেজর আসাদুজ্জামান বীর প্রতীক (অব.), আব্দুল হাসিব চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব খান ফারুক, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ রওশন ইয়াজদানী, তথ্য ও গণমাধ্যম সম্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহ মধু, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক তাজুল ইসলাম, মহিলা সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন শাপলা, ছাত্র সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. সানজিদ রহমান শুভ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০২২
এমএইচ/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।