ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

শেখ হাসিনাকে নামালেই পরিত্রাণ মিলবে: গয়েশ্বর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৮ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০২২
শেখ হাসিনাকে নামালেই পরিত্রাণ মিলবে: গয়েশ্বর কথা বলছেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলছেন, দেশের বর্তমান অবস্থা থেকে পরিত্রাণের একটাই পথ, তা হলো শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে নামানো।

বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসসক্লাবের সামনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কটূক্তির প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশের এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের একটাই পথ, তা হলো শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে নামানো। মানুষের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেছে। আমাদের এই বক্তব্য বোধহয় কেউ আর শুনতে চায় না। সবাই কী দেখতে চায়? অ্যাকশন। যে অ্যাকশনে সব পর্যায়ের জনগণ পথে নামবে। সুতরাং সেই আগের কথায় ফিরে যান- অ্যাকশন, অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন। আমি আবারও আপনাদের বলছি, তাড়াও হাসিনা, বাঁচাও দেশ, টেক ব্যাক বাংলাদেশ। এজন্য প্রস্তুতি নিন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, ভোটের দিন যদি কেউ তলোয়ার নিয়ে আসে তাহলে পাল্টা রাইফেল নিয়ে নামবেন। আমরা যদি তলোয়ার আর রাইফেলই হাতে নিই, তাহলে আবার নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করব কেনো, তার আগেই তো আপনাদের বিদায় করতে পারি। একটি সাংবিধানিক পদে থেকে সস্ত্রাসকে উসকানি দেওয়া, আতঙ্ক সৃষ্টি করে ভোটকেন্দ্র জনশূন্য রাখার একটি প্রয়াস মাত্র। এটা মনে করবেন না যে, না বুইঝা তিনি কথা বলেছেন, বুঝেই তিনি বলেছেন। আজকে আমাদের মূল দায়িত্বটা হলো এই সরকারকে বিদায় করা। রাজপথেই আমাদের এর ফয়সালা করতে হবে। তাহলেই এসব পাগলামী দূর হবে।

গয়েশ্বর বলেন, অনেক উদ্ভট প্রতিশ্রুতি দিয়ে সরকারে এসে সর্বপ্রথম বললেন, বাংলাদেশকে সিঙ্গাপুর বানাবেন। সিঙ্গাপুর বানাতে গিয়ে দেশটাকে আজিমপুর বানিয়ে ফেলেছেন। বিদ্যুৎ দেবো? ২৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ, আমাদের প্রয়োজন ১১ হাজার মেগাওয়াট। এখন বলছে তাও পাওয়া যাচ্ছে না। কুইক রেন্টালের নামে লাখ লাখ কোটি টাকা যে লুটপাট করেছে এই টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। পদ্মা  সেতুর বাজেট হয়েছিল ১১ হাজার কোটি টাকা। আজকে এই সেতু নির্মাণে কত টাকা ব্যয় হয়েছে তা কিন্তু এখনো আমরা জানি না।

তিনি বলেন, আমার দেশে গ্যাসের দাম বাড়ে, গ্যাস দিতে পারে না।  প্রতিবেশী দেশে গ্যাস রপ্তানি করে তিনি বইসা আছেন। আমার দেশের মানুষ শুষ্ক মৌসুমে পানি পায় না। অথচ ফেনী নদীর পানি তাদের (ভারত) খাবার জন্য আমাদেরকে দিতে হয়। বর্ষা মৌসুমে যখন তাদের পানি বাড়ে তখন স্লুইস গেট খুলে দিয়ে আমাদেরকে পানিতে ডুবিয়ে মারে। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের একটাই পথ শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে নামানো।

স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি এসএম জিলানির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম ও উত্তরের গাজী রেজওয়ানুল হোসেন রিয়াজের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, মহানগর বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন, যুব দলের শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, গোলাম সারোয়ার, শাহাবুদ্দিন মুন্না, ইয়াসীন আলী, ফখরুল ইসলাম রবিন প্রমুখ নেতারা বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০২২
এমএইচ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।