ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সরকারের দুর্নীতি-লুটপাটে জনজীবন দুর্বিষহ: ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০২২
সরকারের দুর্নীতি-লুটপাটে জনজীবন দুর্বিষহ: ফখরুল

ঢাকা: সরকারের দুর্নীতি, লুটপাট ও ব্যর্থতায় জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার (২৪ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবে অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (অ্যাব) আয়োজিত ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অমানিশা: দুর্নীতি ও লুটপাটের খেসারত’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

খনার বচন উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমি একটি খনার বচন বলতে চাই। সেটা হলো রাজার দোষে রাজ্য নষ্ট প্রজা কষ্ট পায়। এটাই এখন যথাযথ শব্দ। আমাদের যারা শাসনকর্তা, যারা শাসন করছেন তাদের দুর্নীতি, লুটপাট, অশিক্ষা, ব্যর্থতা সব মিলিয়ে বাংলাদেশের মানুষের অবস্থা দুর্বিষহ করে ফেলেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। অথচ তাদের মুখের ভাষা কী? উন্নয়ন করে তারা সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া বানিয়ে দিচ্ছে। কেউ কেউ কানাডাও বানিয়ে দিচ্ছে। অনেকে সানফ্রানসিসকোও বানিয়ে দিচ্ছে। যে দেশের ৪২ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে সেদেশে এরা সিঙ্গাপুর, কুয়ালালামপুর, কানাডা বানাচ্ছে। আবার নিজেদের নিরাপত্তার জন্য বেগমপাড়া সেকেন্ড হোম বানাচ্ছে।   

মির্জা ফখরুল বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য যত রকমের রেন্টাল, কুইক রেন্টাল, আনবিক শক্তির পাওয়ার প্ল্যান্ট সবকিছু তারা করেছে। কিন্তু এগুলোর জ্বালানি কোথা থেকে আসবে সে বিষয়ে তারা চিন্তা করেনি। কারণ ওটা করলে অনেক বেশি পয়সা পকেটে আসবে। কমিশন হিসেবে আসবে, দুর্নীতির মাধ্যমে আসবে।  

তিনি বলেন, আজকে দুর্ভাগ্য সেই জায়গায় যে শতকরা ৫১ শতাংশ জালানি আসে গ্যাস থেকে। সেই গ্যাস উত্তোলনের ব্যবস্থা গত ১৫ বছরে এ সরকার করেনি। আমাদের রিজু সাহেব একটা কথা বলেছেন আমাদের সময়ের ব্যাপারটা…। আমরাতো মাত্র পাঁচ বছর সময় পেয়েছিলাম। এরা ১৫ বছর এক নাগারে আছে। এ ১৫ বছরে তারা একটা জিনিস করেছে যে কী করে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পাঠানো যায়।  

কারা কারা পাওয়ার প্ল্যান্টের সঙ্গে জড়িত তা উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, সামিট গ্রুপ, আমরা সবাই জানি সামিট গ্রুপ কারা। ক্যাপটিভ পাওয়ার, ইউনাইটেড গ্রুপ, কেপিসিএল, বাংলা ক্যাট, ওরিয়ন গ্রুপ। তারা বাংলাদেশের সম্পদ লুট করেছে এবং বিদেশে পাচার করেছে।  

অ্যাবের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজুর সভাপতিত্বে ও প্রকৌশলী কেএম আসাদুজ্জামান চুন্নুর পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন অ্যাবের সদস্য সচিব প্রকৌশলী আলমগীর হাছিন আহমেদ, সহ সভাপতি প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল, প্রকৌশলী মাহবুব আলম, শাহাদাত হোসেন বিপ্লব, প্রকৌশলী মুঈদ রুমী, প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন, প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম, প্রকৌশলী আব্দুস সালাম, প্রকৌশলী নিয়াজ উদ্দিন, প্রকৌশলী সুমায়েল, প্রকৌশলী মোতাহার হোসেন, প্রকৌশলী আসিফ রচিসহ অ্যাবের সিনিয়র নেতারা।  

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অ্যাবের সহ-সভাপতি প্রকৌশলী মনজুর মোরশেদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০২২
এমএইচ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।