সিলেট: একটি মহল নানাভাবে সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে বলে মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, অপপ্রচারকারীরা সরকারের জনকল্যাণমূলক কাজকে আড়াল করতে চায়, জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াতে চায়। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে তাদের এমন অপপ্রয়াস।
তিনি বলেন, আমি আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের প্রতি আহ্বান জানাই, আপনারা ঐক্যবদ্ধভাবে এ চক্রটিকে মোকাবিলা করুন। তাদের অপপ্রচারের জবাব দিন।
শুক্রবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ড. মোমেন বলেন, যুদ্ধে টালমাটাল এ সময়টাতে বাংলাদেশ যে অন্যান্য দেশের তুলনায় কতটা ভালো আছে, তা সাধারণ মানুষের কাছে সবিস্তারে তুলে ধরার মাধ্যমেই অপপ্রচারকারীদের মোকাবিলা সম্ভব। জনগণের কাছে গিয়ে তাদের বোঝাতে হবে, যুদ্ধকালীন এ বিরূপ পরিস্থিতিতেও বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে আমরা কতটা ভালো আছি।
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রধান ঐতিহ্যবাহী সংগঠনের নাম ছাত্রলীগ। দেশের এমন অনেক অর্জন আছে, যার সঙ্গে ছাত্রলীগ অবশ্যই জড়িত। সেই ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে কাজ করতে হবে। সতর্ক হয়ে কাজ করতে হবে- যাতে আপনাদের কোনো বদনাম না হয়।
ড. মোমেন উপস্থিত সবার উদ্দেশে বলেন, আপনারা বেশি বেশি বই পড়ুন। বঙ্গবন্ধুকে আরও ভালো করে জানতে, তার নীতি-আদর্শ বুঝতে হলে তার লেখা প্রত্যেকটি বই মনোযোগ দিয়ে পড়তেই হবে।
সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি কিশোয়ার জাহান সৌরভের সভাপতিত্বে ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ রাহেল সিরাজের পরিচালনায় শোক সভার শুরতে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম ও মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাইম আহমদ।
সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাত্র সাড়ে ৩ বছর সময় পেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। এ সময়ে জাতিসংঘ বিশ্ব ব্যাংক আইএমএফসহ বিশ্বের অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ সংগঠনের সদস্য হতে পেরেছিল বাংলাদেশ। মোট ১৭৩টি দেশের স্বীকৃতি অর্জনে সক্ষম হয়েছিল। আর মাত্র ৯ মাসে শাসনতন্ত্র তৈরি হয়েছিল। দ্রুত সময়ে এতসব অর্জন কেবল বঙ্গবন্ধুর কারণেই সম্ভব হয়েছিল।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিধান কুমার সাহা, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রঞ্জিত সরকার, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সালেহ আহমদ সেলিম, জেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম আহমদ ভিপি, মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আফসর আজিজ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি কাউন্সিলার আফতাব হোসেন খান, সাধারণ সম্পাদক দেবাশু দাস মিঠু, জেলা তাঁতী লীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০২২
এনইউ/আরবি