ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

যেখানে আঘাত সেখানেই পাল্টা আঘাত: গয়েশ্বর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২২
যেখানে আঘাত সেখানেই পাল্টা আঘাত: গয়েশ্বর জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম ’৭১ আয়োজিত আলোচনা সভা বক্তব্য দেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায় | ছবি শাকিল আহমেদ

ঢাকা: যেখানে আঘাত সেখানেই পাল্টা আঘাতের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

রোববার (২৮ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি একথা বলেন।

জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম ’৭১-এর উদ্যোগে সংগঠনের ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন: ইভিএম মেশিন ও আজকের গণতন্ত্র’ শীর্ষক এ আলোচনা সভা আয়োজিত হয়।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, একাত্তর সালে আমরা যখন যুদ্ধে গেছি, মায়ের কাছে ফিরে আসবো ভাবি নাই। অনেকে আসেনি। আজকেও পাকিস্তানিদের চেয়েও জঘন্য এই সরকারের চরিত্র। সুতরাং আজকের আন্দোলনটাকে মনে করতে হবে— এটা গণতন্ত্রের যুদ্ধ। এই যুদ্ধে ‘ডু অর ডাই’। যেখানে আঘাত, সেখানে পাল্টা আঘাত। এই দৃঢ় সংকল্প নিয়েই আমাকে রাস্তায় থাকতে হবে।

তিনি বলেন, একাত্তর সালে মায়েরাও কিন্তু সান্ত্বনা পেয়েছেন যখন স্বাধীনতাটা পেয়েছেন। যাদের মায়ের বুক খালি, যার ভাই, যার স্বামী নাই তারাও কিন্তু... তারা যে জন্য লড়াই করছে, গণতন্ত্রের জন্য সোনার হরিণটা আমরা যদি জনগণের হাতে এনে দিতে পারি আর জনগণের মালিকানা যদি জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে পারি তাহলে আমাদের রক্ত, মামলা খাওয়া, জেল খাটা সবই সার্থক হবে।

গয়েশ্বর বলেন, যদি কিছুই না করতে পারি সকল কিছুই বৃথা। তাতে কিন্ত কোনো বীরত্ব বাড়বে না, তাতে আমাদের প্রতি কেউ সহানুভূতি জানাবে না, তাতে আমাদের ব্যথায় কেউ ব্যথিত হবে না। আমরা সরাসরি যারা রাজনীতি করি তারা যতটুক আঘাতপ্রাপ্ত, যতটুকু ব্যথা পাই তার চেয়ে বেশি কষ্টে আছে দেশের জনগণ। এই যে লাগামহীন ঘোড়ার মতো ঊধর্মুখী জিনিসপত্রের দাম—এটা কমার কোনো কারণ নেই, কমার কোনো সুযোগ নেই, প্রতিদিন বাড়বে। কারণ বাড়ার জন্য যেগুলো দরকার সেসব সরকার করছে।

শনিবার যশোরের চৌগাছার সমাবেশে ক্ষমতাসীনরা হামলা চালালে পাল্টা প্রতিরোধের ঘটনা তুলে ধরে তিনি বলেন, এখন মাইর খায় না, পাল্টা দেয়। এটা একটা ইতিবাচক দিক। গত পরশু যশোরের চৌগাছায় নেতা-কর্মীরা এমন ধাওয়ানি দিছে যে, আওয়ামী লীগকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। এটা এখন সর্বত্র করতে হবে।

ঢালী আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, বিলকিস ইসলাম, তাঁতী দলের মনিরুজ্জামান মনির বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২২
এমএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।