ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

তিতাসে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে আহত ১৫

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০২২
তিতাসে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে আহত ১৫

কুমিল্লা: কুমিল্লার তিতাসে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

 

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) সকালে তিতাস উপজেলা সদরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।  

জানা গেছে, জ্বালানি তেল, পরিবহন ভাড়াসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি এবং ভোলায় ছাত্রদল নেতা নুরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিম হত্যার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে তিতাস উপজেলা বিএনপি। আগে থেকেই উপজেলা সদরে বিক্ষোভ সমাবেশের কথা জানিয়েছে উপজেলা বিএনপি। সমাবেশের ঘোষণার পর থেকেই তিতাস উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুন্সি মজিবুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, শেখ ফরিদ প্রধান, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনুল ইসলাম সোহেল সিকদার, কুমিল্লা উত্তর জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার হোসেন বাবু, তিতাস উপজেলা সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মুরাদের নেতৃত্বে তিতাস উপজেলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিএনপিকে প্রতিহত করার ঘোষণা দেয়। তারা সমাবেশের আগের রাত থেকেই উপজেলা সদরে আশপাশের এলাকায় অবস্থান নেন। মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে তিতাস সদরের গৌরিপুর-হোমনা সড়কের বন্দরামপুর সবুজবাগ এলাকায় একত্রিত হন। পরে আওয়ামী লীগের ধাওয়া খেয়ে স্থান ত্যাগ করেন বিএনপি নেতারা। এ ছাড়াও সদরের মৌটুপি, শিবপুর, শাহাপুর, জিয়ারকান্দি এলাকায়ও ধাওয়া খেয়ে সভাস্থল ত্যাগ করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।  

এসময় বিভিন্ন স্থানে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা সভাস্থল ত্যাগ করেন।

তিতাস উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুন্সি মুজিবুর রহমান বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা সারাদেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে। তিতাসেও চেষ্টা করছিল। আমাদের সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদ মেরী আপা আমাদের বলেছেন, তিতাসে যেন বিএনপি নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে না পারে এবং তাদের প্রতিহত করতে। আমরা হামলা করিনি। তারা ভয়ে পালিয়েছে।

তিতাস উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনি ভূঁইয়া বলেন, আমাদের আগে থেকেই একটা বিক্ষোভ সমাবেশ ছিল। আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে যাচ্ছিলাম। এসময় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর হামলা করে। আমাদের কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। সংখ্যাটা বলতে পারছি না।

তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুধীন চন্দ্র দাস বলেন, সকালে দুই পক্ষের দৌড়াদৌড়ির ঘটনা ঘটেছে। তবে কেউ আহত হওয়ার খবর পাইনি। সকাল থেকে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ ছিল। ফের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ পাইনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০২২
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।