ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপি কার্যালয় এখন কৃষি অফিস

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২২
ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপি কার্যালয় এখন কৃষি অফিস

ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়াতে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে হঠাৎ করেই দলীয় সাইনবোর্ডের পরিবর্তে দেখা যাচ্ছে কৃষি অফিসের সাইনবোর্ড। তবে কে বা কারা লাগিয়েছেন ওই সাইনবোর্ড তা জানেন না কেউ।

 

বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই রুহিয়া থানা বিএনপির কার্যালয়ে এ সাইনবোর্ডটি দেখতে পান স্থানীয়রা। এরপর থেকেই তুমুল আলোচনা শুরু হয় জেলাজুড়ে।  

এদিকে দলীয় কার্যালয়ে এমন সাইবোর্ড দেখে ক্ষুব্ধ বিএনপির নেতাকর্মীরা। ফলে স্থানীয়রা রয়েছেন হামলা ও সংঘর্ষের শঙ্কায়।

এর আগে, ৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে একই দিনে রুহিয়া থানা বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচি ও থানা মহিলা আওয়ামী লীগের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় রুহিয়া বিএনপি কার্যালয়টিতে অগ্নিসংযোগ করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।  

রুহিয়া থানা বিএনপি কার্যালয়ের সামনের বেশ কয়েকজন দোকানি জানান, আগের দিন ( ৬ সেপ্টেম্বর) রাতেও আমরা যখন দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরি তখনও এ সাইনবোর্ডটি আমরা দেখিনি। সকালে দোকানে আসার পর সাইনবোর্ডটি দেখতে পেয়েছি। গভীর রাতেই এই সাইনবোর্ডটি বসিয়েছেন কেউ।

ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমান বলেন, প্রায় দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে এ অফিসটি আমরা ব্যবহার করে আসছি। আবদুল জব্বার চৌধুরী নামের একজনের নিজস্ব দান করা জমিতে প্রতিষ্ঠিত হয় এ অফিসটি। গত ৩ তারিখে রুহিয়ার দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে আওয়ামী লীগ। আমরা আইনি ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুতি নিচ্ছি। এরই মধ্যে আজ সকালে দেখি সেই কার্যালয়ে ধ্বংসস্তুপের ওপরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রুহিয়া শাখার একটি সাইনবোর্ড। আমি অবাক হয়ে যাই। কৃষি সম্প্রসারণ অফিসারের সঙ্গে কথা বলেছি তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন।

ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি সভাপতি তৈমুর রহমান আরও বলেন, প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হবে। যারা এমন কার্যকলাপ করে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে তাদের যেন আইনের আওতায় আনা হয়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ড. আব্দুল আজিজ বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এই সাইনবোর্ডের বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না। এ ধরনের সাইনবোর্ড দেওয়া আমাদের কোনো সুযোগ নেই। বিভাগীয় পর্যায়ে আলোচনা করে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি ভেবে দেখবো।

রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, সাইনবোর্ড কারা লাগিয়েছে জানি না। এটা কৃষি সম্প্রসারণের বিষয় যে তাদের জায়গা সেখানে আছে কিনা। ঘটনায় এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেকোনো পরিস্থিতি ঠেকাতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২২
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।