ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বাগেরহাটে পথে পথে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, আহত ৫০

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২২
বাগেরহাটে পথে পথে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, আহত ৫০

বাগেরহাট: বাগেরহাটের শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা।  

বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে রায়েন্দা বাসস্ট্যান্ড, মোরেলগঞ্জ ফেরিঘাট, বাগেরহাট কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

 

এতে বিএনপির অন্তত ৫০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন শরণখোলা উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম লাল।  

এছাড়া খুলনাসহ বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার পথে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতাকর্মীকে বাস থেকে নামিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং টাকাসহ কাগজপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।

আহতদের মধ্যে মোরেলগঞ্জ পৌর শ্রমিক দলের সভাপতি মাসুদ খান চুন্নু, শরণখোলা উপজেলা সাউথখালী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্বাস তালুকদার, বশার ঘরামী, মাসুম মীর, জাকির ফকিরের নাম পাওয়া গেছে। এছাড়া শরণখোলা উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম লাল, প্রবীণ বিএনপি নেতা ফজলুল হকতালুকদার, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিমুল গাজী, উপজেলা মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আসমা আক্তারসহ বেশ কিছু দলীয় নেতাকর্মীকে বাস থেকে নামিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, শরণখোলায় আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও যেতে দিচ্ছেন না ছাত্রলীগের কর্মীরা। এছাড়া কোনো অ্যাম্বুলেন্সও আওয়ামী লীগের অনুমতি ছাড়া যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে তাদের।

আহত সাউথখালী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক বলেন, আব্বাস তালুকদার ও আমি একসঙ্গে ছিলাম। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আছাদের নেতৃত্বে আমাদের মারধর করা হয়। আর আমাদের কাছে থাকা ১২ হাজার টাকা ও মূল্যবান কাগজপত্র ছিনিয়ে নেওয়া হয়। আব্বাস তালুকদারের অবস্থা গুরুতর, তাকে খুলনা নিতে হবে।

শরণখোলা উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম লাল বলেন, সমাবেশ বানচাল করতে শুধু বিএনপির নয়, সাধারণ মানুষেরও যোগাযোগে ব্যাহত করা হচ্ছে। সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের হামলায় আমাদের অন্তত ৫০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। তারপরও আমাদের নেতাকর্মীরা সমাবেশে যাবে।

তিনি আরও বলেন, আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ডাক্তার দেখাতে খুলনা যাচ্ছিলাম, পথে নামিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এজন্যই কি জীবন বাজি রেখে দেশ স্বাধীন করেছিলাম?

বাগেরহাট জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোজাফফর রহমান আলম বলেন, শরণখোলায় আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর আহত একজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে এবং পাঁচজনকে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া মোরেলগঞ্জ ফেরিঘাট ও বাগেরহাট বাসস্ট্যান্ডেও হামলার ঘটনা ঘটেছে।

তিনি আরও বলেন, এক দিকে দুই দিন গণপরিবহন বন্ধ রাখছে, অপরদিকে আগে যারা যাচ্ছিল, তাদের ওপর হামলা হয়েছে।  

শরণখোলা উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাইজুল ইসলাম সরদার বলেন, বিএনপির কোনো নেতাকর্মীর ওপর হামলা হয়নি। এমনিই সমাবেশে যাবে না, তাই আমাদের দোষ দিচ্ছে।

শরণখোলা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, স্বাধীন দেশে সবাই স্বাধীন। আমরা কারো ওপর হামলা করিনি। আর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতেও কাউকে বাধা দেওয়া হয়নি।
    
বাংলাদেশ সময়: ১২২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২২
এসআই
    

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।