ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ভোটকেন্দ্রে ‘কুত্তা-বিলাইয়ের’ দৌড়াদৌড়ি চান না নুর

  সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২২
ভোটকেন্দ্রে ‘কুত্তা-বিলাইয়ের’ দৌড়াদৌড়ি চান না নুর

ঢাকা: ২০১৪ ও ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে কুকুর, বিড়ালের দৌড়াদৌড়ি ছিল বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর। ভোটের এমন পরিবেশ আর দেখতে চান না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

রোববার (৩০ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনে তার দল গণঅধিকার পরিষদের নিবন্ধনের আবেদন জমা দিতে এসে এমন মন্তব্য করেন নুরুল হক নুর।

তিনি বলেন, নতুন দল নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তিনটি শর্তই জটিল কাজ। গণঅধিকার সেটা উত্তরণ করেছে। একটি দলও নিবন্ধন পেলে সেটা হবে অধিকার পরিষদ।
 
নুরুল হক নুর বলেন, নির্বাচন কমিশনের প্রতি যে আস্থার সংকট রয়েছে, বর্তমান প্রেক্ষাপটে ভোট নিয়ে জনমনে যে একটা সংকট রয়েছে, সেই সংকট উত্তরণের জন্য নির্বাচন কমিশন কাজ করবে। নতুন আবেদনকারী দলগুলোকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় নিবন্ধন দিয়ে আগামীতে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য তারা এগিয়ে যাবে।
 
‘নিবন্ধন পেলে এই সরকার ও ইসির অধীনে নির্বাচনে আসবেন কি-না’  এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রথমত আমাদের কাছে আসলে নির্বাচন কমিশনের চেয়ে নির্বাচনকালীন সরকারটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা দেখেছি গত ২০১৪ সালে এবং ২০১৮ সালে দলীয় সরকারের অধীনে দু’টি বিতর্কিত নির্বাচন হয়েছে। যে নির্বাচনের জনগণ ভোট দিতে পারে নাই। ভোটকেন্দ্র্রে কুত্তা, বিলাই, ছাগল দৌড়াদৌড়ি করেছে। কাজেই এই কুত্তা, বিলাই, ছাগল দৌড়াদৌড়ি করবে; এইরকম ভোটকেন্দ্র এবং ভোটের পরিবেশ আমরা চাই না।
 
কোটা বিরোধী আন্দোলনের এই নেতা বলেন, জনগণ যেন স্বতস্ফূর্তভাবে তাদের ভোট দিতে পারে সেই ধরণের একটা উৎসবমুখর ভোট এবং নির্বাচনের পরিবেশ আমরা চাই। তার জন্য অবশ্যই আমরা নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবি জানিয়েছি। এবং বিরোধী দলগুলো কিন্তু ইতোমধ্যে সেই দাবি নিয়ে রাজপথে আন্দোলন গড়ে তুলছে। দলীয় সরকারের অধীনে আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি না এবং যাবো না। বর্তমান নির্বাচন কমিশন যেটা আমরা বলেছি, তাদের নিয়ে আমাদের খুব একটা কনসার্ন নাই। নির্বাচনকালীন সরকার নিয়েই হচ্ছে আমাদের প্রধান বিষয়।
 
‘নিবন্ধন না পেলে কোনো জোটে অংশ নেবেন কি-না’ এই প্রশ্নের জববে তিনি বলেন, আমরা মনে করি ’১৪ ও ’১৮ সালের বিনা ভোটের এবং ভোট ডাকাতির নির্বাচন এই দেশে ভবিষ্যতে আর হবে না। আগামীতে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হলে অবশ্যই আমার নিবন্ধন পাবো। আর যদি নিবন্ধন থেকে বঞ্চিত করা হয়, সেটা আমাদের সঙ্গে অন্যায় করা হবে। অন্যায়ের প্রতিবাদের জন্যই তারুণ্যের উত্থান এবং এই রাজনতৈকে দলের জন্ম। কাজেই প্রতিবাদের মধ্যে দিয়েই আমাদের সেই অধিকার অর্জন করবো। আর নির্বাচনের প্রশ্নের এখন পর্যন্ত জোটের বিষয় নিয়ে ভাবছি না। রাজনীতিতে সুষ্ঠু নির্বাচনের সংকট রয়েছে, নেতৃত্বের একটা আস্থাহীনতা রয়েছে। যে কারণে আজকে নতুন নতুন দলের উত্থান হচ্ছে। কিন্তু এই বর্তমান সরকারকে হটিয়ে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অপারপর বিরোধী দলের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করবো, রাজপথে থাকবো। কিন্তু নির্বাচনীকালীন বিষয় নিয়ে আমরা হয়তো দলের একক সিদ্ধান্তে থাকবে।
 
নিবন্ধনের বিষয়ে তিনি বলেন, ২০২১ সালে ২৬ অক্টোবর গণঅধিকার পরিষদ আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরু করে। ১৮ সালের কোটা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তরুণদের সম্পৃ্ক্ত করে এই দলের সূত্রপাত। আমাদের ছয়টি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন রয়েছে। এছাড়া জেলা-উপজেলায় যতগুলো কমিটি দরকার তাও আমাদের আছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২২
ইইউডি/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।