ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

গাড়িতে আগুন দিয়ে ফের বিএনপিকে দায় চাপানোর চেষ্টায় সরকার: আমান

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২২
গাড়িতে আগুন দিয়ে ফের বিএনপিকে দায় চাপানোর চেষ্টায় সরকার: আমান কথা বলছেন আমানউল্লাহ আমান।

ঢাকা: আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকার মহাসমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করতে অতীতের মতো রাস্তায় গাড়িতে আগুন দিয়ে ফের বিএনপির ওপর দায় চাপানোর পরিকল্পনা করছে সরকার বলে অভিযোগ করেছেন দলটির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান।

মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে ঢাকা মহানগর বিএনপি কার্যালয়ের ভাসানী মিলনায়তনে মহানগর দক্ষিণের অধীন কামরাঙ্গীরচর থানা এবং ৫৫, ৫৬ ও ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা দলের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন তিনি।



আমান বলেন, সরকার ও সরকারি দলের নেতা-মন্ত্রীরা বলছেন, ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ ঘিরে পরিবহন ধর্মঘট হবে না। মুখে এ কথা বললেও তাদের উদ্দেশ্য ভিন্ন।  ঢাকার সমাবেশ বানচাল করার জন্য অতীতের মতো তারা ফের রাস্তায় গাড়িতে আগুন দিয়ে বিএনপির ওপর দায় চাপানোর পরিকল্পনা করছে। কিন্তু বিএনপি কোনো ফাঁদে পা দেবে না। অন্য বিভাগীয় গণসমাবেশগুলোর মতো ঢাকার সমাবেশও শান্তিপূর্ণ হবে।

তিনি বলেন, ঢাকার সমাবেশ থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। অন্যথায় এক দফার আন্দোলন শুরু হবে। সেই আন্দোলন সফলে রক্ত দেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। রাজপথে বুকের তাজা রক্ত দেব, তবু শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না।

ক্ষমতাসীনদের সমালোচনা করে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ওই আহ্বায়ক বলেন, তারা ২০১৪ সালে ১৫৪ আসন আগেই নিশ্চিত করে নির্বাচন করেছে। এরপর ২০১৮ সালে পুলিশকে দিয়ে আগের রাতে ভোট করেছে। এবার ইভিএমের মাধ্যমে ফের প্রহসনের নির্বাচন করে ক্ষমতায় থাকার অপচেষ্টা করছে। কিন্তু এবার আর কোনো প্রহসনের নির্বাচন হবে না। জনগণ এ ধরনের কোনো নির্বাচন হতে দেবে না।

বিএনপির চলমান আন্দোলনে কয়েকজন নেতাকর্মী নিহত হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে আমান বলেন, সরকার মনে করছে এভাবে গুলি চালিয়ে, অত্যাচার-নির্যাতন করে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে। সেজন্য তারা নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে। কিন্তু অত্যাচার-নির্যাতন করে আন্দোলন দমানো যাবে না। কারণ, জনগণ জেগে উঠেছে।

ফয়সালা রাজপথেই হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অতীতেও রাজনৈতিক ইস্যুর ফয়সালা রাজপথেই হয়েছে। এবারও ফয়সালা রাজপথেই হবে। বিএনপির চলমান আন্দোলনেই সরকারের পতন ঘটবে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ মহিলা দলের আহ্বায়ক রুমা আক্তারের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব শাহিনুর নার্গিসের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খানসহ মহানগর দক্ষিণ ও কামরাঙ্গীরচর শাখার নেতারা।  

সম্মেলনে সেতারা বেগমকে আহ্বায়ক ও রহিমা আক্তার রিনাকে সদস্য সচিব করে ২১ সদস্যবিশিষ্ট কামরাঙ্গীরচর থানা এবং ফরিদা পারভিন হিরাকে আহ্বায়ক ও সানজিদা খাতুনকে সদস্য সচিব করে ৫৫ নম্বর ওয়ার্ড, রাশিদা বেগমকে আহ্বায়ক ও শিল্পী বেগমকে সদস্য সচিব করে ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড, আসমা বেগমকে আহ্বায়ক ও রুবিনা বেগমকে সদস্য সচিব করে ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা দলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। তিনটি ওয়ার্ড কমিটিই ১১ সদস্যবিশিষ্ট।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২২
এমএইচ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।