ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

ফের চালু হচ্ছে কুতুবদিয়া বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্র

সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১২
ফের চালু হচ্ছে কুতুবদিয়া বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্র

ঢাকা: ফের চালু করা হচ্ছে কুতুবদিয়া বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) বিশেষ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন পিডিবির পরিচালক (নবায়নযোগ্য জ্বালানি গবেষণা ও উন্নয়ন) দিলরুবা বেগম।

২০০৭ সালে কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়ায় নির্মিত দেশের অন্যতম এই বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্রটি ২০০৯ সালের নভেম্বর পর্যন্ত উৎপাদনে ছিলো। এরপর যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ হয়ে যায়।

এর আগে নির্মিত সোনাগাজি বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্রটি সফল না হলেও দ্বিতীয় ধাপে নির্মিত কুতুবদিয়া বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্রকে সফল বলে ধরে নেওয়া হয়। এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা ১ মেগাওয়াট। এখানে ২০ কিলোওয়াট ক্ষমতার ৫০টি টারবাইন রয়েছে।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর এটি ফের চালু করার উদ্যোগ নেয়। সে অনুযায়ী চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি তারিখে ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।

পিডিবির নক্সা ও পরিদর্শন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক এএইচ এম কামালের নেতৃত্বে গঠিত ওই কমিটি সার্বিক অবস্থা ও সুপারিশসহ রিপোর্ট জমা দেয়।

রিপোর্টে বলা হয়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির ৬, ৭, ও ৮ টারবাইনে আইজিবিটি  নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া বেশিরভাগ ইনভার্টারের বুস্টার, চার্জ কন্ট্রোলার, ইনভার্টার (এসি-ডিসি রূপান্তরকরণযন্ত্র) ব্যাটারি ও সার্কিট ব্রেকার নষ্ট হয়ে গেছে।

বিশেষজ্ঞ কমিটি অভিজ্ঞ কোনো প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে কেন্দ্রটি মেরামত ও দীর্ঘ মেয়াদে পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার সুপারিশ করেছে।

পিডিবি সুপারিশ আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন পিডিবির পরিচালক দিলরুবা বেগম।

আগে জলোচ্ছ্বাসে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এখন বাঁধ নির্মাণ করায় সেই সমস্যা কেটে গেছে বলেও জানান তিনি।

কুতুবদিয়া উপজেলার বাঁশখালি, চকোরিয়া, মহেশখালিসহ ৬ ইউনিয়নের ২৯টি গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ দেওয়ার জন্য এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ২০০৭ সালে নির্মাণ করা হয়। অফগ্রিড এলাকার ওই ৬টি ইউনিয়নে পিক আওয়ারে বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ৭২০ কিলোওয়াট। যা বর্তমানে ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে।

কমিটির সুপারিশে বলা হয়েছে বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু করা গেলে ব্যয়বহুল ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রটি আর চালানোর প্রয়োজন পড়বে না। এতে সুবিধা পাবে ৯৫ হাজার মানুষ।

উল্লেখ্য, ১৪ কোটি ৫৯ লাখ ২৮ হাজার ১৩০ টাকা ব্যয়ে এটি নির্মাণ করা হয়। প্যান এশিয়া পাওয়ার সিস্টেম সার্ভিস নামের একটি প্রতিষ্ঠান ঠিকাদার হিসেবে এর দায়িত্ব পালন করে।

এছাড়া কাপ্তাই পানিবিদ্যুৎকেন্দ্রের ছেড়ে দেওয়া পানিতে ছোট ছোট ড্যাম অথবা অন্য কোনো উপায়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিষয়ে সরকার চিন্তা করছে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে একটি সমীক্ষা তৈরির কাজ চলছে বলেও পিডিবি সূত্র দাবি করেছে।

পিডিবির চেয়ারম্যান এএসএম আলমগীর কবির বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, ``সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রসারে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে কুতুবদিয়া বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ``

বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১২
ইএস
সম্পাদনা: আবু হাসান শাহীন, নিউজরুম এডিটর;

জুয়েল মাজহার, কনসালট্যান্ট এডিটর।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।