ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

গাজপ্রমের সঙ্গে কূপ খনন চুক্তি অসম্পূর্ণ: সংসদীয় কমিটি

পার্লামেন্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২০ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১২
গাজপ্রমের সঙ্গে কূপ খনন চুক্তি অসম্পূর্ণ: সংসদীয় কমিটি

ঢাকা: রাশিয়ার গাজপ্রমের সঙ্গে বাংলাদেশের গ্যাসকূপ খননের চুক্তিটি অসম্পূর্ণ বলে মনে করছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। ওই চুক্তিতে গ্যাস উত্তোলনের সময় দুর্ঘটনা ঘটলে বাংলাদেশের ক্ষতিপূরণ পাওয়া নিয়ে স্পষ্ট কিছু বলা হয়নি বলে জানিয়েছে সংসদীয় কমিটি।



রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। কমিটির সভাপতি সুবিদ আলী ভূঁইয়া বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

কমিটি মনে করে, গ্যাস উত্তোলনের সময় দুর্ঘটনা ঘটলে বাংলাদেশ কিভাবে ক্ষতিপূরণ পাবে সে বিষয়ে বলা হয়নি। কমিটি আগামী বৈঠকে এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত আলোচনা করবে।

উল্লেখ্য, গত ২৬ এপ্রিল ১০টি গ্যাসকূপের খনন কাজের জন্য রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান গাজপ্রমের সঙ্গে দুটি চুক্তি করে বাংলাদেশ। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন-২০১০ এর আওতায় এ চুক্তি করা হয়।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি সাংবাদিকদের বলেন, ``রাশিয়ার সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে তাতে গ্যাসক্ষেত্রে দুর্ঘটনা ঘটলে কি ধরণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে সে বিষয়ে কোনো উল্লেখ নেই।   দুর্ঘটনায় ক্ষতি হলে বাংলাদেশ কিভাবে ক্ষতিপূরণ পাবে তা বলা হয়নি। এ কারণে চুক্তিটি অসম্পূর্ণ। অতীতেও এসব ক্ষেত্রে আমাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। ``

তিনি বলেন, ``বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য আগামী বৈঠকে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। ``

কমিটির সদস্য ও বিএনপির এমপি মাহবুব উদ্দিন খোকন গাজপ্রমের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি কমিটিতে উপস্থাপনের দাবি জানিয়েছেন। যদিও তা নাকচ করে দিয়েছেন কমিটির সভাপতি।

এদিকে লিকুইড পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম যাতে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি না হয় সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।

সুবিদ আলী ভূঁইয়া বলেন, ``কমিটি জেলা পর্যায়ে এলপিজি বিতরণে জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করে কমিটি করার জন্য বলেছে। কমিটি বেসরকারি এলপিজি’র দাম এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন যেন ঠিক করে দেয় সে সুপারিশ করেছে। ``

জ্বালানি উপদেষ্টার সাংবিধানিক এখতিয়ার নেই

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরীর এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কমিটির সদস্য ও বিএনপির এমপি মাহবুব উদ্দিন খোকন। ``কুইক রেন্টালের সমালোচনাকারীরা রাষ্টদ্রোহী``---জ্বালানি উপদেষ্টার এহেন মন্তব্যের জন্য কমিটিতে নিন্দা প্রস্তাব আনার প্রস্তাব দেন তিনি। প্রস্তাব গ্রহণ না হওয়ায় তিনি বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসেন।  

এ বিষয়ে খোকন সাংবাদিকদের বলেন, ``জ্বালানি উপদেষ্টার সাংবিধানিক কোনো এখতিয়ার নেই। তিনি এ ধরণের কথা বলতে পারেন না। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে গোপনে পরামর্শ দেবেন, জনসমক্ষে নয়। কিন্তু তিনি গ্যাসের লাইন দেওয়ার কমিটির প্রধান উপদেষ্টা। এটা ঠিক নয়। ``

তিনি বলেন, ``সংবিধান অনুযায়ী মন্ত্রণালয় পরিচালনায় উপদেষ্টার কোনো ভূমিকা নেই। তিনি পারেন না। ``

কমিটি সদস্য ইসরাফিল আলম, নিলুফার জাফর উল্লাহ, ওমর ফারুক চৌধুরী, শেখ ফজলে নূর তাপস ও মাহবুব উদ্দিন খোকন বৈঠকে অংশ নেন।

এছাড়া বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব তাপস কুমার রায়, জ্বালানি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবু তাহের, বিপিসি চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক, পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান ডঃ হোসেন মনসুরসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।


বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১২
এসএইচ/সম্পাদনা: আহমেদ জুয়েল, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর;

জুয়েল মাজহার, কনসালট্যান্ট এডিটর

jewel_mazhar@yahoo.com

 

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।