ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

টেকসই ভবিষ্যতের লক্ষ্যে পরিবেশবান্ধব জ্বালানিতে গুরুত্ব গ্রামীণফোনের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৬ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০২৪
টেকসই ভবিষ্যতের লক্ষ্যে পরিবেশবান্ধব জ্বালানিতে গুরুত্ব গ্রামীণফোনের

ঢাকা: জলবায়ুর লক্ষ্য পূরণে নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে সংস্কার এবং কর্পোরেট পাওয়ার পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্টের গুরুত্ব তুলে ধরতে রাজধানীতে ‘গ্রিনিং দি গ্রিড’ নামে একটি প্যানেল আলোচনার আয়োজন করেছে গ্রামীণফোন।

সোমবার (০৪ মার্চ) জিপি হাউজে প্যানেল আলোচনার মূল লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশে কর্পোরেট পাওয়ার পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট (সিপিপিএ) সম্পর্কিত নীতি সংস্কারে সচেতনতা তৈরি করা।

২০৩০ সালের মধ্যে ২০১৯ সালের তুলনায় কার্বন নিঃসরণ ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করছে গ্রামীণফোন। এই লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই নীতি।

সিপিপিএ নীতির গুরুত্ব তুলে ধরে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশের কনভেনর নাহিম রাজ্জাক, নরওয়ের সাবেক এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট মন্ত্রী এরিক সোলহেইম, বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিকটার-ভেন্ডসেন, টেট্রা টেক-ইউএসএইড-ব্যাজ প্রজেক্টের চিফ অব পার্টি ইডি এলরাহাল, পাওয়ার সেল বাংলাদেশের ডিরেক্টর জেনারেল প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন এবং গ্রামীণফোনের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার হ্যান্স মার্টিন হেগ হেনরিকসেন।

হ্যান্স মার্টিন হেগ হেনরিকসেন বলেন, গ্রামীণফোনের সব কার্যক্রম থেকে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ কমিয়ে আনতে আমরা বদ্ধপরিকর। এই লক্ষ্য পূরণে সিপিপিএ মডেল বাস্তবায়নে বেসরকারি খাত কী ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয় এবং এক্ষেত্রে অনুকূল নীতি কীভাবে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করেন।

নরওয়ের গ্রিড গ্রিনিং অভিজ্ঞতার বিভিন্ন দিক তুলে ধরার পাশাপাশি নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎসের দিকে অগ্রসর হতে বাংলাদেশের জন্য সহায়ক প্রথম সারির আন্তর্জাতিক মডেলগুলো সম্পর্কে আলোচনা করেন নরওয়ের সাবেক এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট মন্ত্রী এরিক সোলহেইম।

সিপিপিএ বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশকে সক্ষমতা বাড়ানো এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদানে ইউএসএআইডি ও টেট্রা টেকের মতো উন্নয়ন অংশীদারদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন টেট্রা টেক-ইউএসএইড-ব্যাজ প্রজেক্টের চিফ অব পার্টি ইডি এলরাহাল।

পাওয়ার সেল বাংলাদেশের ডিরেক্টর জেনারেল প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডে নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎসগুলোকে একীভূত করার প্রযুক্তিগত দিকগুলো তুলে ধরার পাশাপাশি সিপিপিএ বাস্তবায়নে এর ভূমিকা এবং এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনাগুলোর ওপর আলোকপাত করেন।

সিপিপিএ সম্পর্কিত বাংলাদেশে বিদ্যমান আইনি কাঠামো এবং এই নীতি বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় নীতিগত পরিবর্তনের দিকগুলো তুলে ধরে সমাপনী বক্তব্য দেন ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশের কনভেনর নাহিম রাজ্জাক। প্যানেল আলোচনাটি সঞ্চালনা করেন গ্রামীণফোনের হেড অব সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট ফারহানা ইসলাম।

বাংলাদেশ সময়: ২৩০৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০২৪
এমআইএইচ/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।