ঢাকা: সুন্দরবনের সন্নিকটে রামপাল বিদ্যুৎ প্লান্ট নির্মাণ প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি জানিয়েছেন বক্তারা।
রোববার বিকেলে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে রাজধানীর পুরানা পল্টনে মুক্তি ভবনে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি আয়োজিত সভায় বক্তারা বলেন, এ প্রকল্প সুন্দরবন ধ্বংসকারী ও জাতীয় স্বার্থবিরোধী।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ।
আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপার সাধারণ সম্পাদক ডা. আব্দুল মতিন, রাজনীতিবিদ বিমল বিশ্বাস, রুহিন হোসেন প্রিন্স, বজলুর রশীদ ফিরোজ, রাগীব আহমেদ মুন্না, জোনায়েদ সাকী, বাগেরহাট উন্নয়ন ফোরামের ব্যারিস্টার জাকির হোসেন, সেভ দ্য সুন্দরবনের অ্যাডভোকেট মোজাহিদুল ইসলাম, বাগেরহাট জেলা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক রণজিত চট্টোপাধ্যায়, পানি বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, এমনিতে পরিবেশ দূষণ, লবণাক্ততা, জলবায়ু পরিবর্তন, বন কেটে ধ্বংস করাসহ নানা কারণে দেশের প্রাকৃতিক ঐতিহ্য ও দক্ষিণাঞ্চলের রক্ষাকবচ সুন্দরবন বিপদের মুখে। এরপর মাত্র ৯ কিলোমিটার দূরে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে এর মাধ্যমে বায়ু-পানি-কঠিন-তরল যতো ধরনের দূষণ ঘটতে পারে তার সবটুকুই সরাসরি সুন্দরবনকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
বক্তারা পিডিবি ও ভারতের এনটিপিসি’র সঙ্গে সমঝোতা চুক্তির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, ওই চুক্তি অনুযায়ী দেশের স্বার্থ রক্ষা হবে না বরং প্রতি ইউনিট কমপক্ষে ৯ টাকায় বিদ্যুৎ কিনতে হবে।
বক্তারা বলেন, পরিবেশগত সমীক্ষার ন্যূনতম শর্ত ভঙ্গ করে জোরপূর্বক মানুষ উচ্ছেদ-জমি দখল করে ভারতের কোম্পানিকে সুবিধা দিয়ে সুন্দরবন ধ্বংস ও দেশের সর্বনাশের বিরুদ্ধে ওই অঞ্চলের মানুষকে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। সভা-সমাবেশের অনুমতি মিলছে না। হামলা-মামলা আর হুমকি দিয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হচ্ছে।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, এ প্রকল্পের জন্য এখনও পরিবেশগত ছাড়পত্র না পেলেও সরকার পরিবেশ অধিদফতরের ওপর চাপ সৃষ্টি করে অনুমোদন নিতে চাইছে। সুন্দরবন ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় আন্দোলনকারী সংগঠন ও ব্যক্তিদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন পরিচালনার আহ্বান জানান বক্তারা।
সভায় সুন্দরবন রক্ষায় জাতীয় আন্দোলন গড়ে তুলতে অচিরেই উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে হুশিয়ারি দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১২
এমআইএইচ/ সম্পাদনা: জয়নাল আবেদীন নিউজরুম এডিটর ও অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর