ঢাকা: বাংলানিউজে খবর প্রকাশের পর বন্ধ হয়ে গেল বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) টেন্ডার জালিয়াতি প্রক্রিয়া। বিতর্কিত ওই দরপত্র বাতিল করে পুনরায় দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে বলে পিডিবি সূত্র জানিয়েছে।
প্রথমে আহবান করা দরপত্রে নিয়ম অনুযায়ী সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজ না দিয়ে সর্বোচ্চ দরদাতাকে কাজ দিয়ে অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করে পিডিবির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ৭ জানুয়ারি এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় বাংলানিউজে।
এ বিষয়ে পিডিবির নকশা-৩ এর পরিচালক চৌধুরী নুরুজ্জামান পুনরায় দরপত্র আহ্বান করার কথা স্বীকার করে বাংলানিউজকে বলেন, “আমরা বিতর্কের উর্ধ্বে থাকতে চাই। ” ৪ ফেব্রুয়ারি পুনরায় দরপত্র জমা দেওয়ার সময় সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, রাজশাহী শালবাগান বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ট্রান্সফরমার রিপেয়ারিং ওয়ার্কসপ নির্মাণ প্রকল্পে দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে ৮টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দরপত্রে অংশ নেয়।
গত বছরের ২৬ আগস্ট এ দরপত্র খোলা হয়। এতে সর্বনিম্ন দর জমা দেয় মেসার্স মুনির এন্টারপ্রাইজ (বঙ্গবন্ধু এভিনিউ ঢাকা) ৬৫ লাখ ৭৬ হাজার ৫১৫ টাকা।
দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দর জমা দেয় মেসার্স কবির ট্রেডার্স (বগুড়া) ৬৯ লাখ ৬৫ হাজার ১৪ টাকা। তৃতীয় সর্বনিম্ন দর জমা দেয় মেসার্স এসএস এন্টারপ্রাইজ (রাজশাহী) ৭৮ লাখ ১ হাজার ১৫৯ টাকা।
আর সর্বোচ্চ দর জমা দেয় মেসার্স শিকদার এন্টারপ্রাইজ (ঢাকা) ১ কোটি ১১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা।
নিয়মানুযায়ী সর্বনিম্ন দরদাতা মুনির এন্টারপ্রাইজের কাজটি পাওয়ার কথা। কিন্তু তাকে না দিয়ে ৪৬ লাখ টাকা বেশিতে সর্বোচ্চ দরদাতা শিকদার এন্টারপ্রাইজকে কাজ দিতে গোপনে সব চূড়ান্ত করা হয়।
এরপরই বাংলানিউজে এ ব্যাপারে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। সংবাদ প্রকাশের পরপরই নড়েচড়ে বসে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। অবশেষে আগের দরপত্র বাতিল করে নতুন করে দরপত্র আহবান করা হয় পিডিবির পক্ষে।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৩
ইএস/ সম্পাদনা: জয়নাল আবেদীন ও রাইসুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর