চান্দিনা(কুমিল্লা): ২৫ দিন পর পুরোপুরি উৎপাদনে ফিরেছে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার কুটুম্বপুরে অবস্থিত বে-সরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র সামিট পাওয়ার লিমিটেডের চান্দিনা বিদ্যুৎ প্লান্ট।
শনিবার দুপুর থেকে ২৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন ওই পাওয়ার প্লান্টে বিদ্যুতের উৎপাদন শুরু হয়।
চলতি বছরের ১১ জুন ওই পাওয়ার প্লান্টের ৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন একটি ইঞ্জিন বিকল হলে ২৪ মেগাওয়াটের স্থলে ১৫ থেকে ১৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়।
ফলে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আওতাধীন চার উপজেলায় তীব্র বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দেয়। তীব্র তাপদাহ ও লোডশেডিংয়ের মাত্রা আরও বেড়ে যাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল।
বিকল ইঞ্জিন সম্পর্কে চান্দিনা পাওয়ার প্লান্ট কর্তৃপক্ষ সামিট পাওয়ার লিমিটেডের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান। পরে ইঞ্জিন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ারসিলা বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রকৌশলী দল এসে গত বুধবার রাতে (৪ জুলাই) বিকল ইঞ্জিন সচল করেন।
বৃহস্পতিবার ওই ইঞ্জিনটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করার পর শনিবার দুপুরে মূল গ্রিডের সঙ্গে যুক্ত করেন।
এ বিষয়ে কুমিল্লা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার মো. আশরাফুল ইসলাম জানান, চার উপজেলায় প্রতিদিন গড়ে বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ৩০ থেকে ৩২ মেগাওয়াট। আরইবি’র সিদ্ধান্ত মোতাবেক সামিট পাওয়ার তাদের উৎপাদিত এ কেন্দ্রে ২৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করায় জাতীয় গ্রিড থেকে প্রতিদিন গড়ে মাত্র ৬ থেকে ৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।
অপরদিকে, সামিট পাওয়ারের চান্দিনা পাওয়ার প্লান্টে উৎপাদিত একটি ইঞ্জিন প্রায় ২৫ দিন বিকল থাকায় তারা প্রতিদিন গড়ে তারা ১৫ থেকে ১৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করছিলেন। ফলে, গ্রাহকদের চাহিদা মোতাবেক বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যায়নি।
চান্দিনা পাওয়ার প্লান্টের ২৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হওয়ায় এখন লোডশেডিং অনেকটাই কমে যাবে বলে জানান তিনি।
কুমিল্লা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জেনারেল ম্যানেজার মো. নজরুল ইসলাম খান বাংলানিউজকে জানান, সামিট পাওয়ার লিমিটেডের চান্দিনা পাওয়ার প্লান্ট পুরো ২৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে ফিরে আসায় কুমিল্লা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আওতাধীন উপজেলা সমূহে দুই তৃতীংশ লোডশেডিং হ্রাস পাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫১ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০১৩
সম্পাদনা: প্রভাষ চৌধুরী, নিউজরুম এডিটর