ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিবেশের ক্ষতি করবে না!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৩
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিবেশের ক্ষতি করবে না!

ঢাকা: সুন্দরবনের কাছে রামপালে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিল দাবির মধ্যেই সরকারি এক প্রেস নোটে বলা হয়েছে, এ প্রকল্প পরিবেশের ওপর কোনো বিরুপ প্রভাব ফেলবে না। একটি পক্ষ রামপাল প্রকল্প নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে।


 
বৃহস্পতিবার তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো প্রেস নোটে এ দাবি করা হয়।
 
প্রেস নোটে বলা হয়, বিদ্যুৎকেন্দ্রটি সুন্দরবন থেকে নিরাপদ দূরত্বে অর্থাৎ ১৪ কিলোমিটার এবং ইউনেস্কো স্বীকৃত ন্যাশনাল হেরিটেজ সাইট থেকে ৭২ কিলোমিটার দূরে স্থাপিত হবে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর, সুপার ক্রিটিক্যাল টেকনোলজি ও উন্নতমানের আমদানি নির্ভর কয়লা ব্যবহারের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। এতে কার্বন, সালফার, ফ্লাইঅ্যাশ ও অন্যান্য বায়ূ দূষণের পরিমান ন্যূনতম পর্যায়ে থাকবে, যা পরিবেশের ওপর কোনো ধরনের বিরূপ প্রভাব ফেলবে না। পরিবেশ অধিদফতরের ইনভায়রোনমেন্ট ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট (ইআইএ) প্রতিবেদনের পরামর্শ অনুসরণ করে রামপাল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
 
প্রকল্প বাতিলের দাবিতে গত মঙ্গলবার ঢাকা থেকে রামপাল অভিমুখে যাত্রা শুরু করে তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির লংমার্চ। বৃহস্পতিবার মাগুরা থেকে ঝিনাইদহ অভিমুখে চলছে লংমার্চ।
 
প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই ইলাহী বুধবার এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন, আগামী ২২ অক্টোবর রামপালে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে।
 
সরকারি প্রেস নোটে বলা হয়, বর্তমান সরকারের বিদ্যুৎ খাতের ভিশন-২০২১ সালের মধ্যে সবার জন্য যৌক্তিক মূল্যে নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা। সরকারের রূপকল্প-২০২১ এবং বিদ্যুৎ খাতের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ২০২১ সাল নাগাদ ২৪ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০৩০ সাল নাগাদ ৪০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রয়োজন হবে। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে সরকার তাৎক্ষণিক, স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনার আওতায় বিগত ৫ বছরে ৫৭টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট থেকে ৯ হাজার ৭১৩ মেগাওয়াটে উন্নীত করে, যা এক অনন্য সাধারণ ও অভূতপূর্ব সাফল্য।
 
প্রেস নোটে আরও বলা হয়, বর্তমানে গ্যাসের স্বল্পতা এবং গ্যাসের মজুদ ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাওয়ার ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিকল্প জ্বালানির বিষয়টি বিবেচনা করতে হচ্ছে। সারা বিশ্বে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে স্বল্প খরচে উৎপাদনে বিকল্প জ্বালানি হিসেবে কয়লাকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়। সরকার দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাগেরহাটের রামপালে বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ বিনিয়োগে একটি এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কার্যক্রম গ্রহণ করে।
 
বাংলাদেশ ও ভারত যৌথভাবে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করার উদ্যোগ নিলেও কতিপয় ব্যক্তি-সংগঠন সরকারের এ উদ্যোগের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। এটি দেশের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প যা জনস্বার্থে সরকার বাস্তবায়ন করছে।
 
এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে দারিদ্র্যপীড়িত এ এলাকায় অর্থনৈতিক অবস্থার আমূল উন্নতি সাধিত হবে। এর ফলে এসব দরিদ্র জনগোষ্ঠির সুন্দরবনের প্রাকৃতিক সম্পদের ওপরে নির্ভরশীলতা হ্রাস পাবে। ফলে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষা পাবে। দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণকল্পে দেশের এই প্রথম ‘স্টেট অব দ্য আর্ট’ প্রযুক্তি সমৃদ্ধ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বাস্তবায়নে সচেতন দেশপ্রেমিক নাগরিকদের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে প্রেস নোটে।
 

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৩/আপডেট ১৭২৬ ঘণ্টা
এমআইএইচ/ কেএইচ/এএসআর/জেসিকে/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।