ঢাকা: বিদ্যুতে লোডশেডিং নেই। সেচ মৌসুমেও লোডশেডিং শূন্যতে রাখার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো) পরিদর্শন কালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সেচ মৌসুমে বিদ্যুতের চাহিদা বচেয়ে বেশি থাকে। আমরা সে সময়েও লোডশেডিং শূন্যে রাখতে চাইছি।
সোমবার সেচ নিয়ে সভা হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী জানান, সেচ মৌসুমে ৮ হাজার মেগাওয়াট চাহিদা থাকবে। আর বর্তমানে প্রায় ১১ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে। যে কারণে কোনো সমস্যা হবে না বলেও দাবি করেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী।
এ সময় সাংবাদিকদের সহায়তা কামনা করে তিনি বলেন, রাস্তাটা খুব সহজ নয়। আমরা যেন হতাশ না হই সে বিষয়ে আপনাদের সহায়তা প্রয়োজন রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বিগত ৫ বছর একই সঙ্গে চর্চা এবং সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। যে কারণে কিছুটা সমস্যা থাকতেই পারে। বড় প্লান্টগুলো যথাসময়ে উৎপাদনে আনতে পারলেই সুবিধাজনক অবস্থানে চলে আসবে বিদ্যুৎ খাত।
আগামী ৩ থেকে ৪ বছরের মধ্যে বড় বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো চলে আসবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
তেল ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বেশি হওয়ায় বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। একই সঙ্গে গ্যাস সংকটের কারণে অনেক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ থাকছে- এ বিষয়টি কিভাবে দেখছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনারা আমাদের ভবিষ্যত প্লানিং দেখলেই সব বুঝতে পারবেন।
তবে গ্যাস সংকট দূর করতে আগামী ২ মাসের মধ্যে কমপ্রেসার স্থাপন করা হবে। একই সঙ্গে কয়লা উত্তোলনের বিষয়েও ভাবা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
ডেসকোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, ডেসকোর বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে প্রি-পেইড মিটার স্থাপন। সব গ্রাহককে প্রি-পেইড মিটারের আওতায় আনতে পারলে সিসটেম লস আরও কমে যাবে বলেও দাবি করেন তিনি।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডেসকোর চেয়ারম্যান মোফাজ্জেল হোসেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরজাদ হোসেন প্রমুখ।
মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর এদিন প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ প্রথমবারের মতো ডেসকোর কার্যালয় পরিদর্শন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৪