ঢাকা: মন্ত্রণালয় থেকেই বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত ছিল। তবে কোন ধাপে কত বাড়বে সে বিষয়ে বিতরণ কোম্পানিগুলো প্রস্তাব তৈরি করছে।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে মিট দ্য এনার্জি রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ-তথ্য জানিয়েছেন।
নসরুল হামিদ বলেন, এটিকে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব না বলে সমন্বয় বলাই যুক্তিসঙ্গত। কারণ দাম বাড়ানো হচ্ছে না, সমন্বয় করা হচ্ছে। তাছাড়া সেচ এবং নিম্ন আয়ের লোকজনের বিষয়টিও সরকারের বিবেচনায় রয়েছে।
ফোরাম ফর এনার্জি রিপোটার্স বাংলাদেশ (এফইআরবি) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বিএনপির সমালোচনার জবাবে তিনি বলেন, যারা এখন বড় বড় কথা বলছেন, তাদের মনে রাখা উচিত। তাদের কারণেই বিদ্যুৎ খাত অনেক পিছিয়ে রয়েছে। তবে এখন অনেকটা নিরাপদ অবস্থানে রয়েছি।
নসরুল হামিদ বলেন, যারা লুটপাটের অভিযোগ তোলেন তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই। তাদের আমলে সিসটেম লস ছিলো ৪০ শতাংশ। এখন গড়ে ১৩ শতাংশে নেমে এসেছে।
কুইক রেন্টালের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কুইক বিদ্যুতের প্রয়োজন ছিলো। না হলে দেশ অন্ধকার হয়ে থাকত।
অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ তেল উৎপাদনকারি ও রপ্তানীকারণ দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে মন্তব্য করে বলেন, পেট্রোল এখন উদ্বৃত্ত হচ্ছে। কিন্তু রাজনৈতি বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিদ্যুৎ সংযোগে দুর্নীতি প্রতিরোধ প্রসঙ্গে বলেন, বিদ্যুৎ সংযোগের আবেদন অনলাইন পদ্ধতিতে গ্রহণ করা হবে। আগে যারা আবেদন করবেন। তারা আগে সংযোগ পাবেন। এতে দুর্নীতি কমে যাবে।
কয়লা উত্তোলন প্রসঙ্গে বলেন, খাদ্য নিরাপত্তার জন্য কৃষি জমি রক্ষার বিষয় সবার আগে। নতুন টেকনোলজি আবিষ্কার হলে কয়লা উত্তোলন করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে মায়ানমার আমাদের দেশের মধ্য দিয়ে গ্যাস পাইপ লাইন করতে চেয়েছিলো। কিন্তু তখন বিএনপি আগ্রহ দেখায়নি। বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য মারাত্মক ভুল হয়েছে।
বাংলাদেশের গ্যাস সংকট কাটতে মায়ানমার থেকে গ্যাস আমদানির চেষ্টা অব্যহত রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সরকারের সঙ্গে। এমনকি গ্যাস উৎপাদনকারি বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি।
বর্তমান সরকার চতুর্দেশিয় পাইপ লাইন টাপিতে (তুর্কেমিস্তান, আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও ভারত) যোগ দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেয়াদ বাড়ানোর সমালোচনার জবাবে বলেন, আমরা চুক্তিতে নতুন শর্ত আরোপ করেছি। ভাড়া কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। ৫ বছরে ২ হাজার ৫০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।
এফইআরবি’র চেয়ারম্যান মোল্লা আমজাদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক অরুণ কর্মকার।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪২ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৪/আপডেটেড: ১৪২৮ ঘণ্টা