ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

ভারত দেবে বিদ্যুৎ, পাবে বিদ্যুৎ করিডোর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০১৪
ভারত দেবে বিদ্যুৎ, পাবে বিদ্যুৎ করিডোর ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ভারতের ত্রিপুরা থেকে আরও ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি ও ভারতকে বিদ্যুতের করিডোর দেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ-ভারত নীতিগতভাবে একমত হয়েছে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মনোয়ার ইসলাম এ-তথ্য জানিয়েছেন।



বৃহস্পতিবার দুপুরে হোটেল রূপসী বাংলায় ‘ভারত-বাংলাদেশ যৌথ স্টিয়ারিং কমিটি অন কো-অপ‍ারেশন ইন পাওয়ার সেক্টর’-এর সপ্তম বৈঠক শেষে এতথ্য জানান বিদ্যুৎসচিব।

সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যুৎ সচিব আরও বলেন, ভারত থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে আরও ৩০ থেকে ৫০ মেগাওয়াট বিদুৎ আমদানির বিষয়ে একমত হয়েছে উভয়পক্ষ।
 
এর বাইরে নতুন একটি সঞ্চালন লাইন নির্মাণের মাধ্যমে আরও ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। এ জন্য যৌথ কারিগরি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জান‍ান বিদ্যুৎসচিব মনোয়ার ইসলাম।

বৈঠকে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতকে ৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সঞ্চালনের করিডোর দেওয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। সম্ভাব্য রুট ধরা হয়েছে অরুণাচল-রাঙ্গিয়ারাওটা-বড়পুকুরিয়া (বাংলাদেশ)-বোরাকপুর।
 
আগামী ৬ মাসের মধ্যে প্রাক সমীক্ষা যাচাই শেষে চ‍ূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।

অন্যদিকে ত্রিপুরা থেকে বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়েছে, কমিটি ৩ মাসের মধ্যে রিপোর্ট দিলে সে মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎসচিব।
 
বিদ্যুতের করিডোর দিয়ে বাংলাদেশের কী লাভ হবে এমন প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ সচিব বলেন, বিষয়টিতে এখনই লাভ-লোকসান কষা হয়নি। অন্যদিকে ভারতের বিদ্যুৎ সচিব বলেন, বাংলাদেশে যেহেতু সাব-স্টেশন থাকছে তাই এখানে বিদ্যুৎ দেওয়ার একটা সুযোগ থাকছে। তবে বিষয়টি নির্ভর করছে কতটুকু বিদ্যুৎ সঞ্চালন করা হবে তার ওপর।
 
রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রসঙ্গে ভারতের বিদ্যুৎ সচিব পিকে সিনহা বলেন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে বাংলাদেশ-ভারত ১৫ শতাংশ করে ৩০ শতাংশ অর্থায়ন করবে। আর ৭০ শতাংশ অর্থ আসবে ঋণের মাধ্যমে।
 
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জন্য সুখের বিষয়টি হচ্ছে। ভারত ১৫ শতাংশ বিনিয়োগ করলেও কোনো বিদ্যুৎ নেবে না। পুরো বিদ্যুতই পাবে বাংলাদেশ। বিদ্যুতের মূল্য এখনও চ‍ূড়ান্ত হয়নি। তবে ফাইনান্সিয়াল ক্লোজিং হলে বিষয়টি বলা যাবে।
 
ভারতে এ ধরনের কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রায় প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ পড়ছে বাংলাদেশি টাকায় সাড়ে ৬ টাকার মতো। এর সঙ্গে ঋণের বিষয়টি যুক্ত হয়ে বিদ্যুতের মূল্য নির্ধারণ করা হবে বলেও জানান পিকে সিনহা।

বৈঠকে বাংলাদেশি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মনোয়ার ইসলাম।   প্রতিনিধি দলে অন্যদের মধ্যে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক নিলুফার আহমেদ, বিদ্যুৎ বিভাগের যুগ্ম সচিব আনোয়ার হোসেন, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য তমাল চক্রবর্তী, পাওয়ার গ্রিড অব বাংলাদেশ’র (পিজিসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুম আল বেরুরী।
 
ভারতের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সে দেশের বিদ্যুৎসচিব পিকে সিনহা। প্রতিনিধি দলে ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ, ভারতের বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব যুথি আরোরা, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনার সন্দীপ চক্রবর্তী, এনটিপিসির চেয়ারম্যান অরূপ রায় চৌধুরীসহ ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
 
ভারতীয় প্রতিনিধি দলটি গত ১ এপ্রিল সকালে বাংলাদেশে আসে। শুক্রবার দুপুর ১২টায় বাংলাদেশ ছাড়বে প্রতিনিধি দলটি।

** ভারত থেকে আরও ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির সিদ্ধান্ত

বাংলাদেশ  সময়: ১৫৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।