ঢাকা: সব কিছুতে ইয়েস স্যার করলে চলবে না। নো স্যারও বলতে হবে।
বিদ্যুৎ বিভাগ ও কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বেসরকারি উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে এ মন্তব্য করেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
রোববার বিদ্যুৎ ভবনে কোল ক্লাব গঠন বিষয়ক আলোচনায় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সব সময় ইয়েস স্যার বললে প্রকৃত সমস্যা চিহ্নিত করা যায় না। আলোচনায় বসলে সত্য কথা সাহসের সঙ্গে বলার অভ্যেস করতে হবে। বুদ্ধি পকেটে নিয়ে বসে থাকলে হবে না।
কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বেসরকারি উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আজকে মনে করেছিলাম আপনারা সমস্যার কথাগুলো তুলে ধরবেন। বাস্তবায়ন করতে গিয়ে কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না। কিন্তু আপনারা তেমন কিছুই বললেন না।
কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অর্থায়ন ও কয়লার সোর্স নিয়ে নিজেদের মধ্যে শেয়ার বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রতিমন্ত্রী।
নসরুল হামিদ বলেন, ছড়িয়ে ছিটিয়ে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র না করে হাব তৈরি করলেই ভালো।
কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সরকারি প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সমন্বয়ে কোল ক্লাব গঠনের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন তিনি।
তিনি বলেন, ক্লাব থাকলে সকলের মধ্যে শেয়ারিংয়ের সুযোগ তৈরি হবে। তাতে সকলেই লাভবান হতে পারবে। আর প্রকৃত অর্থে দেশই লাভবান হবে।
বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব বলেন, কোল ক্লাব গঠনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ২০ হাজার মেগাওয়াট কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকে এগিয়ে নেওয়া।
তিনি বলেন, আমাদের কিছু ভুল ভ্রান্তি হবে। কিন্তু এগিয়ে যেতে হবে। পেছনে ফেরার সুযোগ নেই।
উঠতে, বসতে, চলতে সব সময় কয়লা নিয়ে ভাবতে হবে বলেও মন্তব্য করেন বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ বিষয়ক উপদেষ্টা, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীকে পৃষ্ঠপোষক রেখে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানকে আহ্বায়ক করে কোল ক্লাবের ১৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠনের প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। কমিটিতে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সদস্য রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৪