ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

আবারও দায়মুক্তি আইনের মেয়াদ বাড়ছে

সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৭ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৪
আবারও দায়মুক্তি আইনের মেয়াদ বাড়ছে ছবি:ফাইল ফটো

ঢাকা: ২০১০ সালে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন করা হয়েছিলো। আইনের প্রথম লাইনটি ছিলো ‘যেহেতু দেশে বিদ্যুৎ জ্বালানির ঘাটতি চরমভাবে বিরাজ করিতেছে..।

সে কারণে বিশেষ বিধান করা প্রয়োজন। ’
 
আইনটি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিলো তখন। দু’দফায় চার বছর পাড় করার পর নতুন করে আরও ৩ বছরের জন্য এ আইনের মেয়াদ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় মেয়াদা বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছে। বুধবার আন্তমন্ত্রণায়লয় বৈঠক ডাকা হয়েছে।
 
২০১০ সালের অক্টোবর মাসে আইনটি প্রণয়নের সময় ২ বছরের জন্য এ আইন করা হয়েছিলো। তখন বলা হয়েছিলো সংকটকালীন সময়ের জন্য করা হচ্ছে। সংকট কেটে গেলে এর কার্যকারিতা থাকবে না। কিন্তু মেয়াদান্তে (অক্টোবর ২০১২) আবারও দু’ বছরের জন্য বাড়ানো হয়। যদিও তখন মন্ত্রণালয় মাত্র ১ বছরের জন্য সুপারিশ করেছিলো।
 
আইনটির কার্যকারিতা শেষ হচ্ছে আগামী অক্টোবর মাসে। এখন আর আগের মতো সংকট না থাকলেও কেন আবারও ৩ বছর মেয়াদ বাড়ানোর নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
 
বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব তাপস কুমার রায় বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, আইনটি থাকলেও ঢালাওভাবে প্রয়োগ করা হয়নি। রাষ্ট্রের স্বার্থে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে এই আইনটি প্রয়োগ করা হয়েছে। এখন সেই আগের অবস্থা নেই এ কথা সত্যি তবে এর প্রয়োজনীয়তা শেষ হয়ে যায়নি। তাই আবারও ৩ বছরের জন্য আইনের মেয়াদ বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে এবারও ঢালাওভাবে প্রয়োগ হবে না।
 
আইনটি আদালতের এখতিয়ার রহিত করা হয়েছে। নবম ধারায় বলা হয়েছে, ‘এই আইনের অধীনকৃত, বা কৃত বলিয়া বিবেচিত কোনো কার্য, গৃহীত কোন ব্যবস্থা, প্রদত্ত কোনো আদেশ বা নির্দেশের বৈধতা সম্পর্কে কোনো আদালতের নিকট প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না। ’

দশম ধারায় কর্মকর্তা কর্মচারীদের সব কর্মকাণ্ডকে সাধারণ আইনের ঊর্ধ্বে স্থান করে দেওয়া হয়েছে। এই আইনের আওতায় কৃত কর্মকাণ্ডের জন্য কোর্টে যাওয়া বা তাদের কর্মকাণ্ডকে চ্যালেঞ্জ করার অধিকার রহিত করা হয়েছে।
 
সরল বিশ্বাসে কৃত কাজকর্ম রক্ষণ ধারায় বলা হয়েছে, ‘এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি, সাধারণ বা বিশেষ আদেশের অধীন দায়িত্ব পালনকালে সরল বিশ্বাসে কৃত, বা কৃত বলিয়া বিবেচিত কোনো কার্যের জন্য কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে দেওয়ানি বা ফৌজদারি মামলা বা অন্য কোনো প্রকার আইনগত কার্যধারা গ্রহণ করা যাইবে না’।

বাংলাদেশ সময়: ২ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।