ঢাকা: নিজস্ব অর্থায়নে সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে চুক্তি সই করেছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। হবিগঞ্জের বিবিয়ানায় এ বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হবে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে বিদ্যুৎ ভবনে জয়েন্ট ভেনচার অব আইসোলাক্স ইঞ্জিনিয়েরিয়া এসএ অ্যান্ড স্যামসাং সিঅ্যান্ডটি কর্পোরেশনের সঙ্গে এ চুক্তি সই করে বিদ্যুৎ বোর্ড।
গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির প্রতি ইউনিটে উৎপাদন খরচ পড়বে এক টাকা ১৩ পয়সা। এতে ৩৮৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। ২৪ মাসের মধ্যে এর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩২২ মিলিয়ন ডলার।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির সিম্পল সাইকেল ইউনিট ২৪ মাসের মধ্যে উৎপাদনে আসবে। সিম্পল সাইকেল থেকে ২৫২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। আর ৩০ মাসের মধ্যে উৎপাদনে যাবে কম্বাইন্ড সাইকেল অংশ। এতে করে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির মোট উৎপাদন ক্ষমতা গিয়ে দাঁড়াবে ৩৮৩ মেগাওয়াটে।
এর আগে অনেক বড় বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র হয়েছে। কিন্তু এগুলোর কোনটিই দেশীয় অর্থায়নে হয়নি। হয় বিদেশি বিনিয়োগ, না হলে দেশি-বিদেশি ব্যাংকের ঋণে নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু বিবিয়ানা দক্ষিণ নামের এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি সম্পুর্ণ দেশীয় অর্থায়নে নির্মাণ করা হবে। এতে এনার্জি মেইনটেইন অ্যান্ড ডেভেলপমেণ্ট ফান্ড থেকে অর্থায়ন করা হবে।
এর আগে এখানে বিবিয়ানা-১ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য সামিট গ্রুপের চুক্তি করেছিলো সরকার। কিন্তু সামিট অর্থায়ন নিশ্চিত করতে না পারায় চুক্তি বাতিল করা হয়।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, পাঁচ বছর আগেও আমরা যেটা ভাবতে পারতাম না, এখন সেটা বাস্তবায়ন করছি। আমরা শুধু স্বপ্ন দেখছি না বাস্তবায়নও করছি এটা তার উপযুক্ত উদাহরণ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখানে শ্রেষ্ঠ টেকনোলজি ব্যবহার করা হচ্ছে। আমরা আধুনিক, উন্নত ও পরিবেশন বান্ধব বাংলাদেশ গড়তে চাই। ভালো থাকতে হলে ভালো কাজগুলোকে এগিয়ে নিতে হবে। এ জন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান আব্দুহু রুহুল্লাহ বলেন, আমরা গ্রাহকদের কাছে সাশ্রয়ী মুল্যে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে চাই। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি থেকে সবচেয়ে কম দামে বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। যা সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ সরবরাহে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান এআর খান, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মনোয়ার ইসলাম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৪/আপডেটেড-১৮৪০ ঘণ্টা