ঢাকা: প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেছেন, ‘বাঁশখালীতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প হবে। এতে প্রধানমন্ত্রীর পূর্ণ সমর্থন আছে।
রোববার (১০ এপ্রিল) বিকেলে বিদ্যুৎ বিভাগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ‘কিছু লোক এখানে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প হলে মায়ের বুকের দুধ শুকিয়ে যাবে বলে বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছে। ’
এছাড়া এ প্রকল্পের কারণে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তাদের পুনর্বাসন করা হবে বলে জানান তিনি।
কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প প্রসঙ্গে তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, প্রকল্পগুলো আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। মানুষকে যাতে কম স্থানান্তর করা যায়, সেই বিষয়েও পদক্ষেপ নিচ্ছি। জনগণের সেবাদানের জন্যই বাঁশখালীর বিদ্যুৎ প্রকল্প। এই প্রকল্প থেকে যে পরিমাণে বিদ্যুৎ বিক্রি করা হবে তার ০ দশমিক ৩ শতাংশ প্রকল্প এলাকার জনগণের উন্নয়নে ব্যয় করা হবে। ’
কয়লার সংস্থান প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাকে ১২ ঘণ্টা সময় দিলেই সিঙ্গাপুর একটি মিটিং করে কয়লা নিয়ে আসবো। আমরা বাইরে থেকে যেভাবে জ্বালানি তেল আমদানি করি, একইভাবে কয়লা আমদানি করবো। ’
বাঁশখালীতে বিএনপি উস্কানি দিচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিএনপি যখন বড় পুকুরিয়া থেকে কয়লা উত্তোলন করেছিল, তখন আবাসনের কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি। অনেক মানুষের ঘরবাড়ি ধসে গিয়েছিল। এরপর আমাদের সরকার এসে ২০০ কোটি টাকা দিয়ে বড় পুকুরিয়ায় আবাসন ব্যবস্থা করেছে। ’
বিতরণ ব্যবস্থা অপ্রতুল উল্লেখ করে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, 'আমরা যে পরিমাণে বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছি সেই পরিমাণে বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়নি। বিদ্যুৎ থাকা সত্ত্বেও বিতরণ ব্যবস্থা না থাকায় অনেক অঞ্চলে সংযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু আমাদের হাতে বিদ্যুৎ আছে।
বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়নে আমরা নতুন নতুন প্রকল্প নিচ্ছি আশা করি সামনে অনেক প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ সচিব মনোয়ার ইসলামসহ সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৬
এমআইএস/ওএইচ/পিসি
** কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে