ঢাকা: সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সারাদেশে ঠিক কী পরিমাণ বিদ্যুতের লোডশেডিং হচ্ছে, সে বিষয়ে সঠিক হিসেবে পাওয়া যাচ্ছে না। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) জানায়, সোমবার সারাদেশে এক হাজার ১৪৩ মেগাওয়াট বিদ্যুতের লোডশেডিং ছিল।
বিপিডিবি সূত্র জানিয়েছে, সোমবার সারাদেশে পিক-আওয়ারে (বিকেল ৪টা থেকে রাত ১০টা) বিদ্যুতের চাহিদা ছিল পাঁচ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট। এর বিপরীতে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে চার হাজার ৫৫৭ মেগাওয়াট। সে হিসেবে সোমবার লোডশেডিং ছিল সর্বোচ্চ এক হাজার ১৪৩ মেগাওয়াট।
তবে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) এক হাজার মেগাওয়াট, ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (ডেসকো) ৩৩৬ মেগাওয়াট, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) ৩৫৯ মেগাওয়াট, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ওজোপাডিকো) ৩৩০ মেগাওয়াট এবং নর্থ-ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (নওজোপাডিকো) লোডশেডিং ছিল ৫০ মেগাওয়াট।
পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) প্রধান প্রকৌশলী সাহাবুদ্দৌলা ও পরিচালনা বোর্ডের এক সদস্য বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, আরইবির মোট গ্রাহক সংখ্যা ৮৩ লাখ ৬০ হাজার ৭১৮ জন। সোমবার প্রায় দুই হাজার ৫০০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ পাওয়া গেছে এক হাজার ৫০০ মেগাওয়াট এবং লোডশেডিং ছিল প্রায় এক হাজার মেগাওয়াট।
সোমবার ডেসকোর চাহিদা ছিল ৬৮৯ মেগাওয়াট, এর বিপরীতে সরবরাহ ছিল ৩৫৩ মেগাওয়াট। সে হিসেবে তাদের লোডশেডিং ছিল ৩৩৬ মেগাওয়াট।
ডিপিডিসির এক হাজার ১৬৮ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ ছিল মাত্র ৮০৯ মেগাওয়াট। সংস্থার সোমবার লোডশেডিং ছিল ৩৫৯ মেগাওয়াট।
ওজোপাডিকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হায়দার আলী বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, সংস্থার ৭৮০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে সোমবার সরবরাহ ছিল ৪৫০ মেগাওয়াট এবং লোডশেডিং ছিল ৩৩০ মেগাওয়াট।
নওজোপাডিকোর প্রধান প্রকৌশলী বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, চার লাখ গ্রাহকের ৪০০ মেগাওয়াট চাহিদার রিপরীতে সোমবার সরবরাহ ছিল ৩৫০ মেগাওয়াট এবং লোডশেডিং ছিল ৫০ মেগাওয়াট।
বিপিডিবির প্রধান প্রকৌশলী আবু নোমান মঙ্গলবার বলেন, ‘বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলোর এই হিসেব মনগড়া। অন্যের কাঁধে দোষ চাপানোর জন্য তারা এসব কথা বলছে। বিপিডিবি যে হিসেব দিয়েছে সেটাই প্রকৃত পরিসংখ্যান। ’
বাংলাদেশ সময়: ২১২৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০১১