ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

মার্চে সুন্দলপুর গ্যাসক্ষেত্র থেকে উত্তোলন শুরু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১১
মার্চে সুন্দলপুর গ্যাসক্ষেত্র থেকে উত্তোলন শুরু

ঢাকা: নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ থানার সুন্দলপুর গ্যাসক্ষেত্র থেকে আগামী মার্চ মাসের মধ্যেই প্রতিদিন এক কোটি থেকে এক কোটি বিশ লাখ ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে বলে জনিয়েছেন পেট্টোবাংলার চেয়ারম্যান ড. হোসেন মনসুর।


বুধবার বিকাল পাঁচটায় কারওয়ান বাজারে পেট্রো সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।



সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়েছে, ২০১০ সালের ২১ ডিসেম্বর বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এ গ্যাস কূপের খনন কাজের উদ্বোধন করেন। কূপের খননকাজ শেষ হয় গত ১১ মার্চ। মোট খনন করা হয়েছে ৩ হাজার ৩২৮ মিটার।  

তিনি আরও জানান, বাপেক্স তিনটি জোনে এ গ্যাসক্ষেত্রকে ভাগ করে নিয়ে খনন কাজ চালিয়েছে। প্রথম জোন ৩১৯৬-৩২২০ মিটার, দ্বিতীয় জোন ৩১১৮-৩১২১ মিটার এবং তৃতীয় জোন ১৩৯৯-১৪০৪.৫ মিটার।  

প্রথম দুটি জোনে বাণিজ্যিকভাবে সফল হওয়া যাবে পরীক্ষা করে এমনটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। অবশেষে গত মঙ্গলবার তৃতীয় জোনে পরীক্ষার কাজ শুরু হয়। বুধবার সকাল সাতটা থেকে গ্যাস নির্গমন শুরু করে।  

তবে  এ গ্যাসক্ষেত্রে কি পরিমাণ গ্যাস মজুদ আছে তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয় তবে এখান থেকে বাণিজ্যিকভাবে গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।  

হোসেন মনসুর জানান, আরও খনন করা হলে গ্যাসের স্তর সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারনা প্রদান করা সম্ভব হবে। এ ক্ষেত্র থেকে উত্তোলিত গ্যাস চট্টগ্রাম অঞ্চলে সরবরাহ করা হবে এবং এ ক্ষেত্র আবিষ্কার হওয়ার ফলে চট্টগ্রামে গ্যাস সংকট অনেকাংশে কমে যাবে।  

সাংবাদিক সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মর্তুজা আহমেদ ফারুক, পেট্টোবাংলার পরিচালক (পিএসসি) এমাজউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।  

আহমেদ ফারুক বলেন, বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ৭৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যায়ে বাপেক্স সাফলভাবে দেশীয় জনবল দ্বারা এখানে সফল হয়েছেন। মাত্র তিন মাসের মধ্যে বপেক্স এ গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কার করলো বলেও তিনি জানান।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১১

নোয়াখালীর সুন্দলপুরে নতুন গ্যাসের সন্ধান পেয়েছে বাপেক্স। বুধবার সকালে জেলার কোম্পানীগঞ্জের শাহাজাদপুরের সুন্দলপুর নতুন এ গ্যাসের সন্ধান পায় তারা।

বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটায় সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবে পেট্রো বাংলা।

এ বিষয়ে পেট্রো বাংলার চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হোসেন মনসুর বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমাদের গ্যাস অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে আরেকটি সাফল্য যোগ হলো। সন্ধান পাওয়া গেল নতুন গ্যাসের। ’

তিনি আরও বলেন, ‘সুন্দলপুরে গ্যাস পাওয়া যাবে এ বিষয়ে আমরা নিশ্চিত ছিলাম। কিন্তু তুলনামূলক কম গভীরতায় গ্যাসের সন্ধান পাওয়াটা আমাদের আশ্চর্য করছে। ’

সূত্র জানায়, গ্যাসের স্তরটি রয়েছে ভূ-পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৪শ` মিটার গভীরে।

জানা গেছে, দ্বি-মাত্রিক জরিপে প্রাথমিক সন্ধান পাওয়ায় ২০০৭ সালের অক্টোবরে সুন্দলপুরে তেল গ্যাস অনুসন্ধানের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। এ আর এতে ব্যয় ধরা হয় ৭৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।