ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

সরকারের কাছে সামনের ২ বছর গুরুত্বপূর্ণ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০১৭
সরকারের কাছে সামনের ২ বছর গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ব্লু ইকোনমি সেল উদ্বোধন করছেন নসরুল হামিদ। ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, আগামী দুই বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তার পরেই নির্বাচন। আমাদের দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। হাতে রয়েছে মাত্র দু’টি বছর।

বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) বিকেলে  রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পেট্রোবাংলা ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে প্রতিমন্ত্রী সেখানে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ব্লু ইকোনমি সেল উদ্বোধন করেন।

নসরুল হামিদ বলেন, সমুদ্রসীমা নির্ধারণের ৫-৬ বছর হয়ে গেলো। প্রধানমন্ত্রী আশা করেছিলেন কিছু কাজ হবে। দেড় বছর ধরে শুনছি একটি সার্ভে ভেসেল কেনা হবে। কিন্তু এটার কাজ এগোয়নি।  

তিনি উপস্থিত কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা যদি এ বিষয়ে না জানি তাহলে এক্সপার্ট হায়ার করতে হবে। এটা আমাদের কাছে নতুন। সমুদ্রে বড় জায়গাজুড়ে মাইনিং আছে। সমুদ্রে বেশ কিছু জায়গা জটিল। সকল বিভাগের সমন্বয়ে কাজ করতে হবে।

মাইনিং ও পরিবেশগত দিক নিয়ে চিন্তাভাবনার প্রয়োজন রয়েছে উল্লেখ করে নসরুল হামিদ বলেন, বিশাল অবকাঠামো তৈরির জন্য আমরা মহেশখালীকে চয়েজ করেছি। মহেশখালী কিন্তু ক্রিটিক্যাল জোনে পড়ে গেছে। এ বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে।

তিনি বলেন, সময় কম, একটা টাইম লাইন ধরে কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আগামী ২-৩ মাসের মধ্যে কী জাহাজ কেনা হবে তার পরিকল্পনা করে ফেলতে হবে। শুধু জাহাজ কিনলেই হবে না। মনে রাখতে হবে, এটি গভীর সমুদ্রে চলবে এবং এটাকে চালাবে কারা।

জ্বালানি সচিব নাজিমুদ্দিন চৌধুরী বলেন, সমুদ্র সার্ভে জাহাজ ক্রয় করা খুবই দরকার। নবগঠিত এ সেলকে তা অর্জনে কাজ করতে হবে।

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আবুল মনসুর মো. ফায়জুল্লাহ বলেন, প্রাকৃতিক সম্পদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সাগরেই রয়েছে।  এই সেলটা সঠিক বিভাগেই এসেছে। তবে অন্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় সাধনেই এর সাফল্য নির্ভর করছে।

ব্লু ইকোনমি সেলের চিফ গোলাম ফখরুদ্দিন আহমদ চৌধুরী  বলেন, ৭২ শতাংশ মালামাল আনা-নেওয়া হয় সমুদ্রপথে। আর সমুদ্রের ভেতরের বেশির ভাগই সম্পদ এখনও অনাবিষ্কৃত।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৭
কেজেড/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।