ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

১৭টি তেল-গ্যাস কূপে ফের জরিপ

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৭
১৭টি তেল-গ্যাস কূপে ফের জরিপ

ঢাকা: সিলেটের কৈলাশটিলায় চারটি, হরিপুরে তিনটি এবং রশিদপুরে ১০টিসহ মোট ১৭টি কূপ খননে জরিপ করেছিলো বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)।

১১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০১০-১২ অর্থবছরে সিলেট গ্যাস ফিল্ডসের (এসজিএফএল)  ওই ১৭টি কূপে থ্রি ডি সাইসমিক জরিপ পরিচালনা করা হয়। এর মধ্যে রশিদপুর ফিল্ডে ৩২৫, কৈলাশটিলা ফিল্ডে ১৯০ এবং সিলেট (হরিপুর) ফিল্ডে ১৯০ বর্গকিলোমিটারসহ সর্বমোট ৭০৫ বর্গকিলোমিটারে জরিপ করে বাপেক্স।

তবে ১৭টি কূপে কোথায় কি পরিমাণ গ্যাস-তেল আছে, সে বিষয়ে কোনো ধারণা পায়নি রাষ্ট্রীয় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠান‍াট। জরিপের সুপারিশ অনুসারে খননকৃত কূপের ফলাফল আশাব্যঞ্জক নয়। ফলে ১৭টি কূপে ফের থ্রি ডি সাইসমিক জরিপ ডাটা ও প্রতিবেদন রিভিউকরণ প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। যেন প্রথম প্রকল্পের ভুলগুলো ধরা পড়ে, কূপগুলোর বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা অর্জন এবং গ্যাস-তেল উত্তোলনে বড় প্রকল্প গ্রহণ করা যায়।
 
এসজিএফএলের কূপগুলোতে চলতি অর্থবছরে দ্বিতীয়বারের মতো কূপ খননে জরিপ পরিচালনায় ব্যয় ধরা হয়েছে ২৭ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে অবকাঠামো নির্মাণ, বৈদেশিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে থ্রি ডি সাইসমিক জরিপ ডাটা ও প্রতিবেদনগুলোর পুন:পর্যালোচনায় ব্যয় হবে ১৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকা।
 
এসজিএফএলের ব্যবস্থাপক (পরিকল্পনা) হেলাল উদ্দিন  বাংলানিউজকে বলেন, ‘বাপেক্সের মাধ্যমে করা আগের জরিপে ১৭টি কূপের বিষয়ে আমরা স্বচ্ছ ধারণা পাইনি। এর মধ্যে তেলের জন্য রশিদপুরের আট ও কৈলাশটিলায় নয় নম্বর কূপ খনন করেছিলাম, কিন্তু তেলের সন্ধান পাইনি। ডাটা করতে গিয়ে কোথায় ভুল হয়েছে আমার ধরতে পারছি না। সুতরাং, তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে বড় প্রকল্প গ্রহণের আগে এগুলো রিভিউ করা জরুরি। আমার বিশ্বাস, প্রকল্পটি রিভিউ করলে আগের ভুল ধরা পড়বে এবং ভালো আশাব্যঞ্জক ফল পাওয়া যাবে’।
 
এসজিএফএল সূত্র জানায়, বাপেক্সের মাধ্যমে থ্রি-ডি সাইসমিক সার্ভে রিপোর্টের ভিত্তিতে স্ট্রাকচারে তেল পাওয়ার সম্ভাবনা থাকায় কৈলাশটিলা-৭ নম্বর কূপ খনন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। এ কূপে সম্পাদিত ফলাফল আশাব্যঞ্জক না হওয়ায় রিপোর্টের ভিত্তিতে নির্ধারিত অন্য দু্’টি কূপ কৈলাশটিলা-৯, এবং সিলেট-৮ কূপে পুন:জরিপের বিষয়ে একমত পোষণ করা হয়েছে।
 
পরিকল্পনা কমিশনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, একমাত্র সরকারি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাপেক্সকে দিয়ে বিদ্যমান থ্রি ডি সাইসমিক ডাটা এবং রিপোর্ট পর্যালোচনার কাজটি সম্পন্ন করা যেতে পারে।
 
তবে পেট্রোবাংলার প্রতিনিধি বলেন, বাপেক্সের তত্ত্বাবধানে নির্বাচিত তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে ডাটা ও রিপোর্ট পর্যালোচনা করা উত্তম হবে। তবে এ সময় বাপেক্সের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিত থাকতে হবে।       
 
বাংলাদেশ সময়: ০৭১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৭
এমআইএস/ এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।