ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

বাসাভাড়া বৃদ্ধিসহ গ্যাসের দামের প্রভাব পড়বে বাজারে

ইসমাইল হোসেন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৭
বাসাভাড়া বৃদ্ধিসহ গ্যাসের দামের প্রভাব পড়বে বাজারে

ঢাকা: নতুন বছরের শুরুতে বাসা ভাড়ার পর গ্যাসের দাম ব‍াড়ায় ফের বাসা ভাড়াসহ অন্যান্য খরচ ব‍াড়ার আশঙ্কা করছেন ঢাকার ভাড়াটিয়ারা। গ্যাসের দাম বাড়লে বাড়বে পরিবহন খরচও। আর এর প্রভাব পড়বে বাজারের উপর।

ঢাকার ভাড়াটিয়া এবং ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান বলছে, অযৌক্তিকভাবে গ্যাসের দাম বাড়ানো ‘গোদের উপর বিষফোঁড়া’। এ অবস্থায় গ্যাসের মূল্য পুনর্বিবেচনা করার দাবি জানিয়েছেন তারা।

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আগামী মার্চ থেকে প্রতি চুলা গ্যাসের দাম বাড়িয়ে ৭৫০ টাকা এবং জুন থেকে ৯০০ টাকা করার ঘোষণা দেয়। আর মার্চ থেকে দুই চুলা গ্যাসের জন্য খরচ যাবে ৮০০ টাকা, যা জুনে গিয়ে ফের বেড়ে দাঁড়াবে ৯৫০ টাকায়।

বর্তমানে প্রতি চুলা গ্যাসের দাম রাখা হচ্ছে ৬০০ টাকা, আর ‍দুই চুলা ৬৫০ টাকা।

গ্যাসের দাম ব‍াড়ানোর প্রভাব বাসা ভাড়া ও পরিবহন খরচ এবং বাজারের উপর পড়বে বলে মনে করছে কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।

ভোক্তাদের অধিকার নিয়ে কাজ করা এই সংগঠনের জেনারেল সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির ভূইয়া বাংলানিউজকে বলেন, গ্যাসের দাম বৃদ্ধি গোদের উপর বিষ ফোঁড়া। গ্যাসের দাম ব‍াড়ানোর কোনো যুক্তি নেই।

“ট্রান্সপোর্ট খরচ বাড়বে এবং বাজারের উপর তার প্রভাব পড়বে। এর ফলে বাসা ভাড়াও বাড়বে। এই উছিলায় বাড়িওয়ালারা পানির দামও বাড়াবে। সামগ্রিকভাবে খরচ ব‍াড়বে”।

তিনি বলেন, কিছু লোককে সুবিধা দেওয়ার জন্য গণমানুষ সাফার করবে- এটা হয় না। গণশুনানি করলেও সাধারণ মানুষের মতামতের মূল্যায়ন করা হয়নি। এটা রিভিউ করা উচি‍ৎ।

তিনি বলেন, গণশুনানিতে অংশ নিয়ে ক্যাবের পক্ষ থেকে পরিষ্কারভাবে বলেছি দাম বাড়ানো কোনো কারণ নেই। এটা প্রত্যাহারের জন্য আবেদন থাকবে।

বিইআরসি চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলামের ঘোষণা অনুযায়ী, মার্চ থেকে প্রতি ঘনমিটার সিএনজি’র দাম হবে ৩৮ টাকা, জুনে গিয়ে দাঁড়াবে ৪০ টাকায়। মার্চ থেকে গ্যাসের বাণিজ্যিক ইউনিটপ্রতি খরচ যাবে ১৪ দশমিক ২০ টাকা, আর জুন থেকে এ ক্ষেত্রে খরচ করতে হবে ১৭ দশমিক ৪০ টাকা।

বর্ধিত দাম কার্যকর হলে মার্চ এবং জুন থেকে দুই দফায় এর বাইরেও অতিরিক্ত খরচ গুণতে হবে বলে মনে করছেন ভাড়াটিয়ারা। তারা বলছেন, কোনো নিয়ম ছাড়াই নতুন বছরের শুরুতে বাসা ভাড়া ব‍াড়ানো রেওয়াজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ঢাকার মিরপুরের বাসিন্দা মৌসুমী কবির বলেন, এমনিতেই বছর শেষে বাড়ি ভাড়া বাড়ে। একদিকে খরচ বাড়ছে, অন্যদিকে গ্যাসের দাম বাড়ায় ভাড়া বাড়াবে বাড়িওয়ালা।

বাণিজ্যিক এবং আবাসিকে গ্যাসের মূল্য এবং মিটার রিডিং জরুরি বলে মনে করেন তিনি।

মিরপুর সেনপাড়া পর্বতা এলাকার বাসিন্দা শাকিল আহমেদ বলেন, বছরের শুরুতে এক হাজার টাকা বাড়িয়েছে বাড়িওয়ালা। গ্যাসের দাম বৃদ্ধির অজুহাত দিয়ে আবারও বাড়িভাড়া বাড়াবে বাড়িওয়ালারা।

সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে গ্যাসের দাম পুর্নিবিবেচনা করা উচিৎ বলে মনে করেন শাকিল।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৭
এমআইএইচ/এটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।