ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

রাজশাহীতে নজিরহীন বিদ্যুৎ সংকট, তদন্তে যাচ্ছেন সচিব

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৭
রাজশাহীতে নজিরহীন বিদ্যুৎ সংকট, তদন্তে যাচ্ছেন সচিব

রাজশাহী: রাজশাহীতে নজিরবিহীন বিদ্যুৎ সংকট দেখা দিয়েছে। এখানে বিদ্যুৎ আর যায় না মাঝে মাঝে আসে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ঘটনা তদন্তে রাজশাহী আসছেন বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব আহমেদ কায়কোয়াস। নিজের ফেসবুক পেইজে তথ্য দিয়ে রাজশাহী-৬ আসনের সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।

এতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, 'রাজশাহী অঞ্চলের বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইনের সমস্যা ও সমাধানের জন্য করণীয় নির্ধারণ করতে বিদ্যুত সচিবের নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল শুক্রবার  (১১ আগস্ট) রাজশাহী সফর করবেন'।

এদিকে, গত কয়েকদিন ধরে রাজশাহীসহ গোটা জেলায় চলছে ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিপর্যয়।

এর প্রেক্ষিতে মন্ত্রীর এ তথ্য রাজশাহীর বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নতিতে সরকারের পদক্ষেপের বিষয়টি জানা যায়। রাজশাহীতে বিদ্যুৎ এই আছে এই নেই অবস্থা চলছে। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা ছিলো নগরবাসীর। গোটা জেলায় চরম লোডশেডিংয়ে বিপাকে পড়েছে মানুষ। চাহিদার অর্ধেক বিদ্যুৎ পাচ্ছে না রাজশাহীবাসী।

হঠাৎ করে বিদ্যুতের এমন সঙ্কটে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। গত ১০ দিনেরও বেশি সময় ধরে এ অবস্থা বিরাজ করছে রাজশাহীতে। রাতভর বিদ্যুতের লুকোচুরিতে নির্ঘুম কাটাতে হচ্ছে রাজশাহীবাসীকে। বিদ্যুৎ না থাকায় অধিকাংশ সময় বন্ধ রাখতে হচ্ছে রাজশাহীর কল-কারখানাসহ দোকান-পাটও।

বিশেষ করে বিদ্যুৎ নির্ভর দোকান-গুলো নিয়ে চরম বিপাকে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। এ অবস্থায় কেনাকাটায়ও নেমেছে ধস। বিদ্যুতের অভাবে থমকে যাচ্ছে অফিস আদালত, ব্যাংক বীমা কোম্পানিগুলোর কার্যক্রম। নগরীর প্রধান বাহন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাগুলো চলাচল করছে কম।

রাজশাহীতে বিদ্যুতের এমন বিপর্যয়ে শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক জীবনেও প্রভাব পড়ছে বলে অনেকের অভিযোগ। নোট, বইসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ফটোকপির করতে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টার সময় নষ্ট করছেন অনেকে। সময় অসময়ে বিদ্যুৎ না থাকায় ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। এছাড়া নানান রকমের বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হচ্ছে।

লোডশেডিংয়ের বিষয়ে রাজশাহী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-৪ এর নির্বাহী প্রকৌশলী নাসরিন ইয়াসমিন বলেন, গত অন্তত ১০ দিন ধরে লোডশেডিং হচ্ছে। জাতীয় গ্রিড থেকেই বিদ্যুৎ কম পাওয়া যাচ্ছে। চাহিদার প্রায় অর্ধেক বিদ্যুৎ মিলছে। আবার লাইনের মাঝে মাঝে সমস্যা হচ্ছে বৃষ্টির কারণে। ফলে নগরীতে লোডশেডিং দিতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। আবার কখনো কখনো জাতীয় গ্রিড থেকেই লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। এতে তারা নিজেরাও বিপাকে রয়েছেন। আশা করছেন দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে।

তিনি আরও জানান, নগরীতে প্রায় ৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। তবে বিদ্যুৎ মিলছে ৫৫-৬০ মেগাওয়াটের মতো। বাকিটা না পাওয়ায় লোডশেডিং হচ্ছে। জেলাতেও বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে প্রায় ৯০ মেগাওয়াট। সেখানেও মিলছে চাহিদার অর্ধেকেরও কম। ফলে নগরীর চাইতে জেলার অবস্থা আরও বেশি ভয়াবহ হয়ে ওঠেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৭
এসএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।