বুধবার (১ নভেম্বর) সকাল ৮টায় পরীক্ষামূলকভাবে এ কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলনের মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে গ্যাস মজুদের বিষয়টি নিশ্চিত হলো।
প্রথমদিনেই ওই কূপ থেকে ২১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাপেক্স কর্মকর্তা ও গ্যাস ক্ষেত্র ইনচার্জ মো. হাসানুজ্জামান।
তিনি বলেন, মাটির তিন হাজার ৪৯০ ফুট নিচে গ্যাস রয়েছে। প্রথমদিন কিছুটা কম হলেও আগামীতে গড়ে ৪০/৪১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন সম্ভব হবে।
গ্যাস উত্তোলনের সময় বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নওশাদ ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাপেক্স জানিয়েছে, ২৩ আগস্ট প্রাথমিকভাবে ওই কূপ থেকে ৭শ’ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছিল। বুধবার সকাল থেকে এ পর্যন্ত উত্তোলিত গ্যাসের পরিমাণ ২ ঘণ্টায় ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট হওয়ায় কর্তৃপক্ষ আশা করছে এ কূপ থেকে কাঙ্ক্ষিত গ্যাস পাওয়া যাবে। যার আনুমানিক মূল্য হবে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকার বেশি। তবে এর পরিমাণ কম-বেশি হতে পারে বলে জানিয়েছে বাপেক্স। ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নওশাদ ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, সবকয়টি কূপ মিলে এ গ্যাস ক্ষেত্রটির মজুদ এক ট্রিলিয়ন ঘনফুট ছাড়িয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, ভোলার শাহাবাজপুরে ১৯৯৪ সালে প্রথম ৩৯০ বিসিএফ গ্যাস আবিষ্কার হয়। বর্তমানে দেশের ২৬টি গ্যাস ক্ষেত্রের মধ্যে ভোলা শাহাবাজপুর গ্যাস ক্ষেত্রের মজুদ পঞ্চম। শাহবাজপুরের গ্যাসের ওপর নির্ভর করে ইতোমধ্যে ২২৫ ও সাড়ে ৩৪ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন দু’টি গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু রয়েছে যা থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়ে আসছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৭, আপডেট: ১৭১৫ ঘণ্টা
এসআই/আরবি/