ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

চীনা অংশিদারিত্বে দ্বিতীয় বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ চুক্তি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৫ ঘণ্টা, মে ৬, ২০১৮
চীনা অংশিদারিত্বে দ্বিতীয় বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ চুক্তি বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে চীনা প্রতিষ্ঠান হুয়াদিয়ান হংকং কোম্পানির মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর

ঢাকা: বিদ্যুৎখাতে চীনের অংশিদারিত্ব আরও বেড়ে গেলো। পায়রার পর এবার মহেশখালীতেও যৌথ মালিকানায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ হবে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদন ক্ষমতা হবে ১৩২০ মেগাওয়াট।
 

বাংলাদেশের চতুর্থ বৃহত্তম কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। এজন্য যৌথমূলধনী কোম্পানি গঠন করা হবে।

এখনও নাম চূড়ান্ত করা হয় নি। তবে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, বে অব বেঙ্গল পাওয়ার কোম্পানি অব বাংলাদেশ নামকরণের প্রস্তাব করেন।
 
রোববার (০৬ মে) বিদ্যুৎ ভবনে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে চীনা প্রতিষ্ঠান হুয়াদিয়ান হংকং কোম্পানির মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়। অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ঝাং জুও, হুয়াদিয়ান হংকং কোম্পানির প্রেসিডেন্ট ফাং জুও, বিদ্যুৎ বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা অংশ নেন।
 
নতুন এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে বাংলাদেশ ও চীনা কোম্পানির সমান মালিকানায় থাকবে। এই পদ্ধতিতে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত মোট চারটি বৃহৎ কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চূড়ান্ত ধাপে পৌঁছে গেছে। এরমধ্যে রামপালে ভারতের সঙ্গে, পায়রাতে (পটুয়াখালী) চীনা কোম্পানির সঙ্গে এবং মাতারবাড়িতে জাপানের সঙ্গে যৌথমূলধনী কোম্পানি গঠন করেছে।
 
সবার আগে ২০১০ সালে রামপালের আলোচনা শুরু হলেও কাজের দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র। তারপর রামপাল ও মাতারবাড়ি। আর নতুন চুক্তি হওয়া এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নির্মাণ সময় ধরা হয়েছে ৪৮ থেকে ৫৪ মাস।
 
চীন বিদ্যুৎ উৎপাদন ছাড়াও সঞ্চালনেও অনেক সহায়তা দিচ্ছে। মহেশখালী বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রায় দুই বিলিয়ন ডলারের প্রয়োজন পড়বে বলে মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী।
 
প্রতিমন্ত্রী বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আগামী নির্বাচনের আগেই পাইপ লাইনে থাকা বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর চুক্তি শেষ করতে পারলে ভালো হয়। তাহলে কাজটা অনেকদূর এগিয়ে থাকে। আর জনগণও বুঝবে সরকার এখন দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে।
 
বাংলাদেশের পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০৩০ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা দাঁড়াবে প্রায় ৪০,০০০ মেগাওয়াট। দেশি ও আমদানি নির্ভর কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য ধরা হয়েছে প্রায় ২০,০০০ মেগাওয়াট।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১৮
এসআই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।