ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

গ্যাসের দাম ১৪৩ শতাংশ বৃদ্ধির সুপারিশ  

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৬ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৮
গ্যাসের দাম ১৪৩ শতাংশ বৃদ্ধির সুপারিশ  

ঢাকা: গ্যাসের দাম ১৪৩ শতাংশ বৃদ্ধির সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গঠিত কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি।

মঙ্গলবার (১২ জুন) তিতাস গ্যাস বিতরণ কোম্পানির গ্যাসের দাম বৃদ্ধির আবেদনের উপর শুনানিতে কারিগরি কমিটি এ সুপারিশ করে।
 
তবে এবার দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবের বাইরে থাকছে আবাসিক এবং বাণিজ্যিক গ্রহকরা।

তিতাস গ্যাস সার উৎপাদনে সর্বোচ্চ ৩৭২ শতাংশ দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে। সার উৎপাদনে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের বর্তমান দাম ২ দশমিক ৭১ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২ দশমিক ৮০ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দর বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে বিদ্যুতে। প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের বর্তমান দর ৩ দশমিক ১৬ টাকা বাড়িয়ে ১০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ক্যাপটিভ পাওয়ারে ৯ দশমিক ৬২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৬ টাকা, শিল্পে ৭.৭৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫ টাকা এবং সিএনজির দর ৩২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

কমিশন বলছে এখন নির্দিষ্ট শ্রেণির এইসব গ্রাহকরা গড়ে ৩ দশমিক ৪৪৯৩ টাকায় প্রতি ঘনমিটার গ্যাস কিনে থাকে। সব ধরনের তহবিল এবং চার্জ ধরে এই গ্যাসের ঘনমিটার প্রতি ১১ দশমিক ৭৪৪৩ টাকা বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে তিতাস। কারিগরি কমিটি মনে করছে এই দর আট দশমিক ৪০৫২ টাকা রাখলেই তিতাসের ২০১৮-১৯ এ কোনো ঘাটতি হবে না।
 
কেবলমাত্র এলএনজি আমদানির কারণেই দেশের গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করতে হচ্ছে বলে কারিগরি কমিটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে।
 
শুনানিতে বুয়েটের অধ্যাপক নূরুল ইসলাম বলেন, এলএনজি আসছে এ খবরেই গৃহস্থালির গ্রাহকদের ডিমান্ড নোট ইস্যু করা হচ্ছে। আবার একটি মহল এ বিষয়ে তৎপর হয়েছে।
 
তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মীর মশিউর রহমান বলেন, নতুন করে কাউকে ডিমান্ড নোট দেওয়া হয়নি। আগে যাদের ডিমান্ট নোট ইস্যু করা হয়েছে গৃহস্থালিতে সংযোগ দিলে তাদের আগে দেওয়া হবে। তবে এক্ষেত্রে সরকারের ঘোষণা দিতে হবে। এখনও তিতাস গৃহস্থালিতে গ্যাস দেওয়ার বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো নির্দেশনা পায়নি।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, প্রতি বছর লাভ হোক বা না হোক তিতাস ২৫০ কোটি টাকা সরকার এবং শেয়ার মালিকদের দিচ্ছে। এজন্য তাদের অতিরিক্ত অর্থ তুলতে হচ্ছে।
 
তিনি বলেন, মানসম্পন্ন গ্যাস ও ভালো সার্ভিস দেওয়ার কথা বলে পেট্রোবাংলা-তিতাস বার বার দাম বাড়িয়ে নিয়ে গেছে। কিন্তু সেবা কখনই বাড়েনি। মানুষ গ্যাস পাচ্ছে না, কিন্তু মাস শেষে বিল ঠিকই দিতে হচ্ছে। এভাবে আর কতকাল চলবে!
 
গ্যাস উন্নয়ন তহবিলের টাকার অপব্যহার হচ্ছে উল্লেখ করে শামসুল আলম বলেন, এই ফান্ডের টাকা গ্যাসের উন্নয়নে ব্যবহার হওয়ার কথা। কিন্তু দেওয়া হচ্ছে ঋণ হিসেবে। আবার প্রকল্প নেওয়ার আগে বিইআরসির অনুমোদন নেওয়ার কথা থাকলেও নেওয়া হচ্ছে না। অথচ এ অপরাধের দায়ে কর্মকর্তাদের অর্থ ও কারাদণ্ড অথবা উভয়দণ্ড হতে পারে। কিন্তু কি হচ্ছে!

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৯ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৮ 
এসআই/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।