ঢাকা: বহুল আলোচিত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে আগামীকাল বুধবার রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর হতে যাচ্ছে।
ওইদিন দুপুর ১২ টায় রাজধানীর নভোথিয়েটার মিলনায়তনে এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
চুক্তি স্বাক্ষর শেষে বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান ও রাশিয়া ফেডারেশনের প্রতিনিধি দলের নেতা রোসাটমের মহাপরিচালক সের্গেই কিরিয়েস্কো যৌথভাবে ব্রিফিং করবেন।
গত ফেব্র“য়ারি মাসে বাংলাদেশ-রাশিয়ার মধ্যে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়।
চুক্তিটি স্বাক্ষর হলে বাংলাদেশে পারমাণবিক ও বিকিরণ সংক্রান্ত আইনি কাঠামোর উন্নয়নসহ ও বিভিন্ন বিষয় শান্তিপূর্ণ ব্যবহারে ক্ষেত্রে দু’দেশের সরকারের সহায়তার পথ সুগম হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়।
এ প্রসঙ্গে ইয়াফেস ওসমান বলেন, অপেক্ষার পালা শেষ হয়েছে। পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চুক্তি করতে যাচ্ছি আমরা। এটা বর্তমান সরকারের বিশাল সাফল্য।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির বাস্তবায়নের অর্থ সহায়তা ও দীর্ঘমেয়াদে জ্বালানি সরবরাহ সহায়তা কারা দেবে-এনিয়ে গত ২৩ অক্টোবর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য ওয়ার্কিং গ্র“পের সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. আবদুর রব হাওলাদার।
ওই সভায় রাশিয়ার আর্থিক সহযোগিতায় এই কেন্দ্রটি নির্মাণ হবে বলে জানানো হয়। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের মালিকানা উভয় দেশের থাকলেও বাস্তবায়ন পদ্ধতি চূড়ান্ত করা হয়নি।
পাশাপাশি পরিবেশ অধিদপ্তর প্রকল্পের ছাড়পত্রের জন্য যেসব শর্ত দিয়েছে তারও একটি গাইডলাইন চূড়ান্ত করা হয়েছে।
জাপানের ঘটনার পর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে বিতর্ক থাকায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে।
একইসঙ্গে বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি কারিগরী কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও ৮টি সাব গ্র“প গঠন করা হয়েছে।
গত মার্চে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে জাতীয় কমিটির প্রথম সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বাংলাদেশ পারমাণবিক শক্তি কমিশনের আইনের খসড়া চূড়ান্ত করা এবং মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদন নেওয়া হবে।
কিন্তু খসড়া চূড়ান্ত করা হলেও এখন পর্যন্ত মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হয়নি। তবে খুব শিগগির প্রশাসনিক সংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায় উপস্থাপন করা হবে বলে সূত্র জানিয়েছে।
এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রতিটি ১ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দু’টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ইউনিট নির্মাণ করা হবে।
‘প্রকল্প বাস্তবায়নের ব্যয় নির্বাহের জন্য রাশিয়ান সরকার ঋণ প্রদানের বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছে বলে জানা গেছে।
চুক্তিতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচালনার জন্য দীর্ঘমেয়াদে জ্বালানি সরবরাহের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১১