ঢাকা: চলতি সপ্তাহেই বাড়ছে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম। আর এই বর্ধিত দাম ১ ডিসেম্বর থেকেই কার্যকর হতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) সদস্য ড. সেলিম মাহমুদ।
বিইআরসির একটি সূত্র জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে বুধ অথবা বৃহস্পতিবার এ ঘোষণা দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ চলছে। এতে দু’দফায় গড়ে ১৯ শতাংশের মতো দাম বাড়ানো হতে পারে। তবে বর্ধিত এ মূল্য সংস্থা ও গ্রাহকভেদে একেক রকম হবে বলে জানা গেছে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গ্রাহকদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে কম বাড়ানো হবে বলে সূত্রটি নিশ্চিত করেছে।
বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়া পাইকারি (বাল্ক) পর্যায়ে ডিসেম্বর থেকে দাম বাড়ানো হয়েছে। গ্রাহক পর্যায়ে দাম না বাড়ালে কোম্পানিগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হবে। আর সে কথা বিচেনায় রেখেই দাম বাড়ানো হচ্ছে বলেও সূত্র জানায়।
উল্লেখ্য, গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কোম্পানিগুলোর দেওয়া প্রস্তাব নিয়ে গণশুনানি শেষ হয়েছে নভেম্বরের ২৩ তারিখে।
সবার আগে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) দাম বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে ২৭ এপ্রিল তারিখে গণশুনানি হয়। এতে আরইবি ১২ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিলো।
এরপর ঢাকা পাওয়ার ডিস্টিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) ১১ দশমিক ৯৩ শতাংশ দাম বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে ২৩ নভেম্বর, ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্টিবিউশন কোম্পানির (জোপাডিকো) ১৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ দাম বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে ১০ নভেম্বর এবং ১৪ নভেম্বর ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানির (ডেসকো) ১২ দশমিক ১৮ শতাংশ দাম বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) দু’দফায় ১৯ শতাংশ দাম বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে শুনানি হয় ২১ নভেম্বর। পিডিবি তার প্রস্তাবে ১৯ শতাংশ দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের পাশাপাশি পাইকারি দাম বাড়ানো হলে তার সঙ্গে সমন্বয় করে আরো ৫০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে।
পিডিবির প্রস্তাবে বলা হয়েছে, নভেম্বরে যে দামে তারা বিদ্যুৎ কিনেছে, তাতে তাদের ০৯-১০ অর্থবছরে ২৮৭ কোটি ১১ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে।
পিডিবির এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে জানান, ডিসেম্বরে পাইকারি বিদ্যুতের দাম বাড়ায় তাদের যে প্রস্তাব রয়েছে, সে হারে বাড়ালেও তাদের লোকসান গুনতে হবে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরে বিদ্যুতের দাম দু’দফায় ১৬ এবং সর্বশেষ আরো ২ দফায় ৩১ শতাংশ দাম বাড়নোর সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে।
এছাড়া এর আগে পাইকারি পর্যায়ে দাম বাড়ানোর সময় আন্তবর্তীকালীন সময়ের গ্রাহকপর্যায়ে ৫ শতাংশ হারে দাম বাড়ানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১১