ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

৬৬ বছরে বিশ্বের ১ম বাণিজ্যিক পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০১৯
৬৬ বছরে বিশ্বের ১ম বাণিজ্যিক পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: বাণিজ্যিক ব্যবহারের লক্ষ্যে গ্রীডে যুক্ত বিশ্বের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৬৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে রাশিয়ায়।

১৯৫৪ সালের ২৭ জুন তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নে মস্কোর ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবনিন্স্ক শহরে চালু হয় মাত্র ৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। প্রায় পাঁচ দশক ধরে সফলভাবে উৎপাদনের পর বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ২০০২ সালের ২৯ এপ্রিল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

সম্প্রতি বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে অবনিন্স্ক পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৬৫তম বার্ষিকী উদযাপন করেছে রাশিয়ান ফেডারেশনের স্টেট অ্যাটমিক এনার্জি করপোরেশন (রোসাটম)। ঢাকায় রোসাটমের গণসংযোগ শাখার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  

রোসাটমের প্রধান নির্বাহী আলেক্সি লিখাচোভ বলেন, ৬৫ বছর ধরে প্রযুক্তির বিবর্তনের ফলে বর্তমানে পারমাণবিক প্রযুক্তি অনেক নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য ও কার্যকরী। ১৯৫৪ সাল থেকে শুরু করে সঞ্চিত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এখন পারমাণবিক শিল্পে বিভিন্ন উচ্চমানের নিরাপত্তা ব্যবস্থার সংযোজন ঘটেছে।

তিনি বলেন, ২০১৯ সালে দাঁড়িয়ে আমরা ‘স্টেট অব দ্য আর্ট ৩+’ প্রজন্মের ভিভিইআর ১২০০ পারমাণবিক রিঅ্যাক্টর অফার করতে সক্ষম, যেগুলো আগের তুলনায় অনেক বেশি নিরাপদ ও এর উৎপাদন ক্ষমতাও তুলনামূলকভাবে বেশি।

অবনিন্স্ক পারমাণবিক বিদ্যুকেন্দ্রটি শুধু বিশ্বের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রই নয়, এটি রুশ পারমাণবিক শক্তি শিল্পের ভিত্তিও বটে। এর ৬৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনকে কেন্দ্র করে রোসাটম বেশ কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।  

মস্কোয় রোসাটমের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শুরু হয় এ কর্মসূচি। স্থানীয় গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের জন্য এ উপলক্ষে অবনিন্স্ক পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়। পাশাপাশি, অবনিন্স্ক শহরে বিশেষ কনসার্ট, পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান, পরমাণু শক্তি বিষয়ে একটি আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।

পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে বিশ্বে শীর্ষস্থানীয় একটি দেশ রাশিয়া। তারা ১২টি দেশে ৩৬টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ ইউনিট নির্মাণ করছে। দেশটির ভাণ্ডারে রয়েছে সর্বাধুনিক ৩+ প্রজন্মের ভিভিইআর ১২০০ রিঅ্যাক্টর। আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সব নিরাপত্তা চাহিদা পুরোপুরি পূরণে সক্ষম এ রিঅ্যাক্টরটি বিশ্বের সর্বাধিক নিরাপদ হিসেবে বিবেচিত। ভিভিইআর ১২০০ রিঅ্যাক্টরভিত্তিক বিদ্যুৎ ইউনিট বর্তমানে বাংলাদেশ, বেলারুশ, তুরস্ক, ফিনল্যান্ড, হাঙ্গেরি, মিসর ও উজবেকিস্তানে নির্মাণের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে।  

পাবনার রূপপুরে রাশিয়ার কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় নির্মিত হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। এ বিদ্যুৎকেন্দ্রে ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দু’টি ভিভিইআর ১২০০ পাওয়ার ইউনিট থাকবে। প্রথম ইউনিটটি ২০২৩ ও দ্বিতীয়টি ২০২৪ সালে উৎপাদনে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০১৯
এসকে/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।