ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিদ্যুৎকেন্দ্র উন্নয়নে চুক্তি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৯
নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিদ্যুৎকেন্দ্র উন্নয়নে চুক্তি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উভয় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন

ঢাকা: বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করবে নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড (এনডব্লিউপিজিসিএল) এবং চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশন (সিএমসি)। এলক্ষ্যে প্রতিষ্ঠান দুইটির মধ্যে এক সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। এসময় প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই ইলাহী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যুৎ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস। এছাড়াও বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিসি) সভাপতি খালিদ মাহমুদসহ সিএমসি ও ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাসের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

চুক্তিপত্রে এনডব্লিউপিজিসিএল এর পক্ষে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকৌশলী এ এম খোরশেদুল আলম। অপরপক্ষে সিএমসির পক্ষে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান রুয়ান গুয়াং।  

চুক্তি অনুযায়ী, দুই পক্ষ মিলে এরইমধ্যে গঠন করেছে বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিসিপিসিএল)। নবায়নযোগ্য জ্বালানিখাতে সক্ষমতা বাড়াতে বাংলাদেশ সরকারের লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কোম্পানিটি একাধিক নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও বিদ্যুৎকেন্দ্র হাতে নিতে ইচ্ছুক। এর আওতায় দেশের প্রথম আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়াও প্রযুক্তিগত এবং আর্থিক সহযোগিতা পেতে একসঙ্গে কাজ করবে দুই পক্ষ।  

এই সমঝোতা স্মারকের আওতায় পাবনা ৬০ মেগাওয়াট গ্রিড কানেক্টেড ফটোভল্টায়িক সোলার বিদ্যুৎকেন্দ্র, সিরাজগঞ্জ ১০০ মেগাওয়াট গ্রিড কানেক্টেড ফটোভল্টায়িক সোলার বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পায়রা ৫০ মেগাওয়াট বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ আরও কিছু প্রকল্পে কাজ করবে দুই প্রতিষ্ঠান।  

চুক্তি স্বাক্ষরের আগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তৌফিক-ই ইলাহী বলেন, এনডব্লিউপিজিসিএল বিদ্যুতের ক্ষেত্রে নিজেদের এক অনন্য প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে। বাংলাদেশের যেসব জায়গায় বিদ্যুৎ নেই আমরা চেষ্টা করছি সেখানে সুলভ মূল্যে বিদ্যুৎ দিতে। জি কে প্রকল্পের আওতায় খালের ওপর সোলার প্যানেল বসানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এমনই আরও বিকল্প উপায়গুলো খুঁজতে হবে যেখান থেকে নবায়নযোগ্য এবং স্থায়ী জ্বালানি পাওয়া যায় বা বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়।  

নিজ বক্তব্যে এনডব্লিউপিজিসিএল এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকৌশলী এ এম খোরশেদুল আলম বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে ৮০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে বাংলাদেশ। পরিবেশবান্ধব শক্তি উৎপাদনের জন্য নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের নীতিমালা নিয়েছে সরকার। তারই অংশ হিসেবে আমাদের এই উদ্যোগ।  

খোরশেদুল আলম আরও বলেন, জার্মানি, সুইডেনের মত অনেক দেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করছে। পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশ ২০৫০ সাল নাগাদ শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশের জন্যও সময় এসেছে এখন নবায়নযোগ্য জ্বালানি নির্ভর শক্তি উৎপাদন করার।  

আর রুয়ান গুয়াং বলেন, চীন এমন একটি দেশ যে নিজেকে কৃষিভিত্তিক দেশ থেকে প্রযুক্তি উৎপাদক দেশ হিসেবে উন্নীত করেছে। একই সঙ্গে পৃথিবীর দ্বিতীয় অর্থনৈতিক পরাশক্তিতে পরিণত হয়েছে। আমরা এখন পৃথিবীতে বন্ধু রাষ্ট্রগুলোকে সাহায্য করছি। বাংলাদেশের সঙ্গে চীনা অর্থনীতির বেশ মিল আছে। এনডব্লিউপিজিসিএল এর সঙ্গে মিলে এই দেশের বেশকিছু প্রজেক্ট আমরা সফলতার সঙ্গে শেষ করেছি। আশা করি আমাদের যৌথ যাত্রা আরো সফল প্রকল্প দেবে।  

বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৯
এসএইচএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।