ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

মুজিববর্ষে বৈদ্যুতিক পেশায় ১৪ হাজার জনকে প্রশিক্ষণ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৯
মুজিববর্ষে বৈদ্যুতিক পেশায় ১৪ হাজার জনকে প্রশিক্ষণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ঘোষিত মুজিববর্ষে সারাদেশে বৈদ্যুতিক কর্মপেশায় দক্ষ জনবল তৈরির লক্ষ্যে ১৪ হাজার মানুষকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।   

মুজিববর্ষ (২০২০-২০২১) উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (০৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে ‘বৈদ্যুতিক কর্মপেশায় দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টির প্রশিক্ষণ কর্মসূচি’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আওতায় আগামী দুই মাসে দেশর বিভিন্ন জেলায় দুই হাজার ৮৭৫ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জানান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাকছুদা খাতুন।

তিনি বলেন, মুজিববর্ষে আমরা ১৪ হাজার মানুষকে প্রশিক্ষণ দিতে পারবো এবং আগামী পাঁচ বছরে ৭০ হাজার মানুষকে প্রশিক্ষণ দিতে পারবো।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী বলেন, আগামী বছর বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী। আমরা তাকে অকালে হারিয়েছি, তার আদর্শকে ধরে রাখলে তার প্রতি সম্মান জানানো হবে।

তিনি বলেন, মানুষের ঘরে ঘরে যে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাচ্ছে এটা সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়নের কারণেই। দেশের যে সব গবেষক আছে তারা কোনো দিন কল্পনাও করতে পারেনি, এতা অল্প সময়ের মধ্যে এতখানি অর্জন করতে পারবে। বিশ্বব্যাংক এবং অন্যান্য দেশও কল্পনা করতে পারেনি। বাংলাদেশ একটা অসম্ভব সম্ভব করার দেশ। আমরা নয় মাস যুদ্ধ করে দেশটাকে স্বাধীন করেছি। আমরা সবাই মিলে যদি চেষ্টা করি তাহলে দেশটাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো। যে যেখানে আছি, গ্রামে-গঞ্জে ছেলে-মেয়েরা থাকে, ওখান থেকেই যদি জীবনটা গড়তে পারি, তাহলে গ্রামেরও উন্নতি হলো আমাদের জীবনেরও উন্নতি হবে।

দুই মাসের প্রশিক্ষণে সবাই নিজের ও পরিবারের সঙ্গে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবেন জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আপনারা নিজের এলাকায় বসে প্রশিক্ষণ নেবেন, আমি আশা করবো প্রশিক্ষণ নিয়ে কাউন্সিলিং শুরু হবে। যাতে তারা প্রশিক্ষণ নিয়ে সরকারের বিভিন্ন রকমের উদ্যোগ রয়েছে, জনশক্তি রপ্তানি হোক বা ব্যাংক থেকে ‍ঋণ নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারে।

মুজিববর্ষে সেবাকে প্রতিপাদ্য বিষয় হিসাবে নেওয়ায় ধন্যবাদ জানিয়ে বিদ্যুৎ উপদেষ্টা বলেন, আমরা সবাই সেবার মনোভাব নিয়ে মানুষের সামনে গেলে আমাদের মধ্যে একটা হৃদ্যতা তৈরি হবে।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন দক্ষ জনবল। সোনার দেশের জন্য আমাদের সোনার মানুষের প্রয়োজন। সে প্রয়াসে বিদ্যুৎ বিভাগ এ প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে।

তিনি বলেন, ভবিষ্যতে বড় বড় এবং আধুনিক প্রকল্প আসছে। এজন্য মাঠ পর্যায়ে যারা কাজ করবেন তাদের আধুনিক প্রশিক্ষণ প্রয়োজন পড়বে। আমরা সাশ্রয়ী বিদ্যুতের দিকে যাচ্ছি। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে প্রায় ৪৪ শতাংশ সিস্টেম লস ছিল, এখন প্রায় সিঙ্গেল ডিজিটে নেমে এসেছে। এটা বিদ্যুৎ বিভাগের সাফল্য এবং গ্রাহকরাও সচেতন হয়েছে।  

তিনি আরও বলেন, আগে যে বিদ্যুতের কানেকশনে মাসের পর মাস লেগে যেতে। এখন সাত দিনের মাথায় নিয়ে এসেছি। কোনো কোরো সময় এক দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ দিয়েছি, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) এক ঘণ্টার মধ্যে প্রকল্প চালু করেছে। বিদ্যুতের ক্ষেত্রে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি।

প্রায় ৩০ একর জমির ওপর পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট নির্মাণ করতে যাচ্ছি জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমার যাতে নিজস্ব অর্থ থেকে সম্পন্ন করতে পারি। এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ওয়ার্ল্ড ক্লাস কেন্দ্র হবে।

বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস বলেন, বিদেশে যে ধরনের জনশক্তি দরকার সেদিকে টার্গেট করে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। দেখা যায়, পরবর্তীতে তারা আর এ পেশায় যুক্ত হন না। যার কারণে সুফল পাই না। তাই সিলেকশনে সতর্ক হওয়া দরকার।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৯ 
এমআইএইচ/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।